ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের মোংলায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের। ঘের ডুবে অধিকাংশ মাছ ভেসে যাওয়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চাষিদের।

স্থানীয় মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ও চাঁদপাই ইউনিয়নের চিংড়ি চাষিরা। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুন্দরবন, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের মালিকরা।

মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের মাছচাষি মাসুদুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মৎস্য ঘেরগুলোতে পানিতে বেড়ি তলিয়ে গেছে। এতে অনেক মাছ বের হয়ে গেছে। এখন নেট জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছি, যাতে মাছ বের হয়ে যেতে না পারে। তবে এখনো নদীতে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় ঘেরের পানি কমছে না। অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে আমার।

চাঁদপাই এলাকার চিংড়ি চাষি আ. রহমান বলেন, মৌসুমের শুরুতেই ভাইরাসে মাছ মরেছে। এরপর এখন বৃষ্টিপাতে ঘের তলিয়ে গেছে। মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছি।

সুন্দরবন ইউনিয়নের বাসিন্দা পলাশ বলেন, সারা বছর ধরেই আমরা বিপদে থাকি। এ ভাইরাস, এ বৃষ্টিপাত, এ ঝড়-জ্বলোচ্ছাস। একের পর এক নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে এখানকার সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমির সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে চিংড়ি চাষিদের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কোনো অনুদান এলে অবশ্যই তা চাষিদের মাঝে বণ্টন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাটের মোংলায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের। ঘের ডুবে অধিকাংশ মাছ ভেসে যাওয়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চাষিদের।

স্থানীয় মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ও চাঁদপাই ইউনিয়নের চিংড়ি চাষিরা। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুন্দরবন, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের মালিকরা।

মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের মাছচাষি মাসুদুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মৎস্য ঘেরগুলোতে পানিতে বেড়ি তলিয়ে গেছে। এতে অনেক মাছ বের হয়ে গেছে। এখন নেট জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছি, যাতে মাছ বের হয়ে যেতে না পারে। তবে এখনো নদীতে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় ঘেরের পানি কমছে না। অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে আমার।

চাঁদপাই এলাকার চিংড়ি চাষি আ. রহমান বলেন, মৌসুমের শুরুতেই ভাইরাসে মাছ মরেছে। এরপর এখন বৃষ্টিপাতে ঘের তলিয়ে গেছে। মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছি।

সুন্দরবন ইউনিয়নের বাসিন্দা পলাশ বলেন, সারা বছর ধরেই আমরা বিপদে থাকি। এ ভাইরাস, এ বৃষ্টিপাত, এ ঝড়-জ্বলোচ্ছাস। একের পর এক নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে এখানকার সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমির সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে চিংড়ি চাষিদের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কোনো অনুদান এলে অবশ্যই তা চাষিদের মাঝে বণ্টন করা হবে।