ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ভারি বর্ষণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৫ সালের বর্ষায় আবারও চরম দুর্ভোগে পড়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার সাধারণ মানুষ। কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে শহর ও গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। তালগাছী, খাস বাজার, গোপালপুর ও চর শহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় হাঁটু পানি। বাজারের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম, আর ঘর থেকে বের হওয়া তো যেন রীতিমতো যুদ্ধ।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অনেক দোকানেই তালা ঝুলছে। যে দোকানগুলো খোলা আছে, সেখানেও নেই ক্রেতার আনাগোনা। এক দোকানদার বলেন, “সকালে এসে দোকান খুলেছি ঠিকই, কিন্তু তিন ঘণ্টায় এক কাপ চা পর্যন্ত বিক্রি হয়নি।”

সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ভ্যানচালক, রিকশাওয়ালা, রাজমিস্ত্রি কিংবা ছোটখাটো হকারদের আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

শহরের তুলনায় গ্রামীণ জনপদের অবস্থা আরও করুণ। শাহজাদপুরের তালগাছী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতঘরে পানি উঠে গেছে। রান্না-বান্না, চলাচল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারগুলো চরম উৎকণ্ঠায়।

উল্লাপাড়ার চর এলাকা থেকেও এসেছে একই ধরনের খবর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারছে না।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বর্ষার পানি নিষ্কাশনে জরুরি কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে তা সময়সাপেক্ষ। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তার দাবি উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভারি বর্ষণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

২০২৫ সালের বর্ষায় আবারও চরম দুর্ভোগে পড়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার সাধারণ মানুষ। কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে শহর ও গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। তালগাছী, খাস বাজার, গোপালপুর ও চর শহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় হাঁটু পানি। বাজারের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম, আর ঘর থেকে বের হওয়া তো যেন রীতিমতো যুদ্ধ।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অনেক দোকানেই তালা ঝুলছে। যে দোকানগুলো খোলা আছে, সেখানেও নেই ক্রেতার আনাগোনা। এক দোকানদার বলেন, “সকালে এসে দোকান খুলেছি ঠিকই, কিন্তু তিন ঘণ্টায় এক কাপ চা পর্যন্ত বিক্রি হয়নি।”

সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ভ্যানচালক, রিকশাওয়ালা, রাজমিস্ত্রি কিংবা ছোটখাটো হকারদের আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

শহরের তুলনায় গ্রামীণ জনপদের অবস্থা আরও করুণ। শাহজাদপুরের তালগাছী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতঘরে পানি উঠে গেছে। রান্না-বান্না, চলাচল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারগুলো চরম উৎকণ্ঠায়।

উল্লাপাড়ার চর এলাকা থেকেও এসেছে একই ধরনের খবর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারছে না।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বর্ষার পানি নিষ্কাশনে জরুরি কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে তা সময়সাপেক্ষ। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তার দাবি উঠেছে।