ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

সড়কে নয়, জনস্বার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ : জামায়াত সেক্রেটারি

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই দশকেরও বেশি সময় পর রাজধানীতে জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী শনিবার, ১৯ জুলাই, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এ সমাবেশ। এ উপলক্ষে চলছে দলটির বড় ধরনের প্রস্তুতি; উদ্যানে দৃশ্যমান শেষ মুহূর্তের কর্মতৎপরতা।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সড়কে সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ বাড়ত। সেই বিবেচনায় জনস্বার্থে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করছি। নগরবাসীর যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

তিনি জানান, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে গঠন করা হয়েছে ৮টি অনুবিভাগ। থাকবে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, যাতে দূর থেকেও অংশগ্রহণকারীরা কার্যক্রম দেখতে পারেন। এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, যারা ২০টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন। ১৫টি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হচ্ছে, প্রতিটিতে দুজন চিকিৎসক নিয়োজিত থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রসঙ্গ।

এ নিয়ে পরওয়ার বলেন, গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরনের হামলা ফ্যাসিবাদের চিহ্নমাত্র। জামায়াতে ইসলামী সব ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে সমাবেশের প্রধান লক্ষ্য ও দাবির বিষয়েও তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, গণহত্যার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার দাবি, এবং রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।

পরওয়ার বলেন, এই সমাবেশ গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে উদ্ভূত। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণেই রাষ্ট্রের সঠিক দিক নির্ধারিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে তিনি সবার প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান এবং সরকারের প্রতি সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সড়কে নয়, জনস্বার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ : জামায়াত সেক্রেটারি

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

দুই দশকেরও বেশি সময় পর রাজধানীতে জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী শনিবার, ১৯ জুলাই, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এ সমাবেশ। এ উপলক্ষে চলছে দলটির বড় ধরনের প্রস্তুতি; উদ্যানে দৃশ্যমান শেষ মুহূর্তের কর্মতৎপরতা।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সড়কে সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ বাড়ত। সেই বিবেচনায় জনস্বার্থে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করছি। নগরবাসীর যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

তিনি জানান, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে গঠন করা হয়েছে ৮টি অনুবিভাগ। থাকবে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, যাতে দূর থেকেও অংশগ্রহণকারীরা কার্যক্রম দেখতে পারেন। এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, যারা ২০টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন। ১৫টি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হচ্ছে, প্রতিটিতে দুজন চিকিৎসক নিয়োজিত থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রসঙ্গ।

এ নিয়ে পরওয়ার বলেন, গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরনের হামলা ফ্যাসিবাদের চিহ্নমাত্র। জামায়াতে ইসলামী সব ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে সমাবেশের প্রধান লক্ষ্য ও দাবির বিষয়েও তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, গণহত্যার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার দাবি, এবং রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।

পরওয়ার বলেন, এই সমাবেশ গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে উদ্ভূত। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণেই রাষ্ট্রের সঠিক দিক নির্ধারিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে তিনি সবার প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান এবং সরকারের প্রতি সহযোগিতার অনুরোধ জানান।