ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন ভয়ংকর বোমা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে শিশুদের হত্যা করতে এ বোমা দিয়ে হামলা করছে ইসরায়েল। সম্প্রতি নিহত শিশুদের সুরতহালে স্থানীয় চিকিৎসক দল বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে শুক্রবার (১৮ জুলাই) ভোর থেকে কমপক্ষে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ কবলিত উপত্যকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুণ দশা বর্ণনাতীত। প্রতিদিনের আহতদের চাপে চিকিৎসকদের বাছাই করে চিকিৎসা দিতে বাধ্য করছে।
শুক্রবার সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে পূর্ব গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়া আন-নাজলায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এর আগে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় বড় ধরনের আগুন লেগেছে এবং শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আল-মাওয়াসিতে বারবার মারাত্মক ইসরায়েলি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
মরিয়া হয়ে সাহায্যের সন্ধানে থাকা সাতজনকেও হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আল জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ বলেছেন, শিশুসহ আহতদের নাসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষত ড্রোন হামলার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে পেরেক, ধাতু এবং ধারাল পদার্থ থাকে। যা বিস্ফোরণের পর তীব্রগতিতে ছড়িয়ে পড়ে আঘাত হানে। ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়। এই আক্রমণগুলো ক্রমবর্ধমান এবং বিশাল জনসমাগম, বাজারে বা পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে।
মাহমুদ আরও যোগ করেন, ইসরায়েল ভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করার দাবি করছে। আমরা যখন মাটিতে তাকাই, তখন আমরা দেখতে পাই যে হতাহতের সংখ্যা ইসরায়েলের কথার বিপরীত।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
ঢাকা অফিস: ১/জি,আদর্শ ছায়ানীড়,রিংরোড,শ্যামলী,আদাবর ঢাকা-১২০৭।
©2025 l চলনবিলের সময়