ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মায়ার

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মারুফা আক্তার মায়ার। পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তার স্বজনরা।

জানা যায়, মারুফা আক্তার মায়া উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের নন্দইল গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক মুরশিদুলের মেয়ে ও ধরঞ্জী কুতুবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাবা যেদিন ভ্যান চালিয়ে আয় করতে পারেন সেদিন পরিবারের সবার ভাত জোটে, নয়তো সবাইকে উপোস থাকতে হয়। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মায়া ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখা চালিয়ে আসছিল।

মায়ার বাবা জানান, ছোট থেকেই আমার মেয়ে পড়ালেখার প্রতি খুবই আগ্রহী। কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই দিতে পারিনি। অধিকাংশ দিনই না খেয়ে স্কুলে যেত। পড়াশোনা ছাড়া তাদের কোনো চাহিদা নেই। নিজ মেধাগুণে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। আমার সহায় সম্বল বলতে তেমন কিছুই নেই। ভ্যান চালিয়ে যে টাকা পাই তা দিয়ে মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের সবার মুখের ভাত জোটাই। এ ছাড়া অসুস্থতার কারণে পরিবারের কিছু ঋণও আছে সেগুলোও এখন পরিশোধ করতে হবে। মেয়ের পরীক্ষার এমন ভালো রেজাল্ট শুনে যেমন খুশি লাগছে, আবার মেয়েকে টাকার অভাবে ভালো কলেজে ভর্তি করাতে না পেরে হতাশায় দিন কাটছে।

মায়া বলেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পড়ালেখা করে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করব। কিন্তু এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হলেও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারব কি না সেই শঙ্কায় দিন কাটছে। আমি পড়াশোনা করতে চাই।

প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের গ্রামের মেধাবী মেয়ে মায়ার বাবা একজন হতদরিদ্র ভ্যানচালক। তাদের সংসারে সর্বদাই অভাব লেগেই থাকে। এ কারণে মেয়েটার পড়ালেখা আগামীতে অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

ধরঞ্জী কুতুবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি খুব কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়েছে। আমি তার ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য কামনা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মায়ার

আপডেট সময় : ০২:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মারুফা আক্তার মায়ার। পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তার স্বজনরা।

জানা যায়, মারুফা আক্তার মায়া উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের নন্দইল গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক মুরশিদুলের মেয়ে ও ধরঞ্জী কুতুবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাবা যেদিন ভ্যান চালিয়ে আয় করতে পারেন সেদিন পরিবারের সবার ভাত জোটে, নয়তো সবাইকে উপোস থাকতে হয়। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মায়া ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখা চালিয়ে আসছিল।

মায়ার বাবা জানান, ছোট থেকেই আমার মেয়ে পড়ালেখার প্রতি খুবই আগ্রহী। কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই দিতে পারিনি। অধিকাংশ দিনই না খেয়ে স্কুলে যেত। পড়াশোনা ছাড়া তাদের কোনো চাহিদা নেই। নিজ মেধাগুণে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। আমার সহায় সম্বল বলতে তেমন কিছুই নেই। ভ্যান চালিয়ে যে টাকা পাই তা দিয়ে মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের সবার মুখের ভাত জোটাই। এ ছাড়া অসুস্থতার কারণে পরিবারের কিছু ঋণও আছে সেগুলোও এখন পরিশোধ করতে হবে। মেয়ের পরীক্ষার এমন ভালো রেজাল্ট শুনে যেমন খুশি লাগছে, আবার মেয়েকে টাকার অভাবে ভালো কলেজে ভর্তি করাতে না পেরে হতাশায় দিন কাটছে।

মায়া বলেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পড়ালেখা করে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করব। কিন্তু এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হলেও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারব কি না সেই শঙ্কায় দিন কাটছে। আমি পড়াশোনা করতে চাই।

প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের গ্রামের মেধাবী মেয়ে মায়ার বাবা একজন হতদরিদ্র ভ্যানচালক। তাদের সংসারে সর্বদাই অভাব লেগেই থাকে। এ কারণে মেয়েটার পড়ালেখা আগামীতে অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

ধরঞ্জী কুতুবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি খুব কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়েছে। আমি তার ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য কামনা করি।