ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘বিনিয়োগ’ ফাঁদে ফেলে মানুষকে নিঃস্ব করত তারা

রংপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টেলিগ্রাম অ্যাপে বিনিয়োগে মোটা মুনাফার লোভ দেখিয়ে রংপুরের এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারকচক্র। ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) পীরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. আজাদ মিয়া (২৪) এবং মো. মারুফ আহমদ পারভেজ (২১)। তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।

প্রতারণার শিকার নাহিদ হাসান রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কেশবপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. লাবলু মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ বলছে, টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া অনলাইন কোম্পানি খুলে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত। ‘বিনিয়োগের’ প্রলোভনে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বিকেলে টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘https://findpenguinTour.com’ নামের একটি ভুয়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করে নাহিদ। নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি প্রথম দফায় মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৬৭ টাকা পাঠান। প্রতারকরা তাকে জানায়, এই বিনিয়োগের বিপরীতে কমিশনসহ মোট ১৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় তারা ফের ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং না দিলে কোনো লভ্যাংশ দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে গত ১৪ মে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হাসান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকদের শনাক্ত করেন। পরে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার তাজপুর ও বানারশিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন এই প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের সাথে চক্রে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চক্রটির অন্য সদস্যদের শনাক্ত করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘বিনিয়োগ’ ফাঁদে ফেলে মানুষকে নিঃস্ব করত তারা

আপডেট সময় : ০৭:০০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

টেলিগ্রাম অ্যাপে বিনিয়োগে মোটা মুনাফার লোভ দেখিয়ে রংপুরের এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারকচক্র। ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) পীরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. আজাদ মিয়া (২৪) এবং মো. মারুফ আহমদ পারভেজ (২১)। তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।

প্রতারণার শিকার নাহিদ হাসান রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কেশবপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. লাবলু মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ বলছে, টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া অনলাইন কোম্পানি খুলে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করত। ‘বিনিয়োগের’ প্রলোভনে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বিকেলে টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘https://findpenguinTour.com’ নামের একটি ভুয়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করে নাহিদ। নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি প্রথম দফায় মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৬৭ টাকা পাঠান। প্রতারকরা তাকে জানায়, এই বিনিয়োগের বিপরীতে কমিশনসহ মোট ১৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় তারা ফের ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং না দিলে কোনো লভ্যাংশ দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে গত ১৪ মে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হাসান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকদের শনাক্ত করেন। পরে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার তাজপুর ও বানারশিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন এই প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের সাথে চক্রে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চক্রটির অন্য সদস্যদের শনাক্ত করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।