ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ট্রেসি এ্যান জ্যাকবসন এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা জেমস স্টুয়ার্ট। সৌজন্য বৈঠকের এক পর্যায়ে মহিলা জামায়াতের নেতাদের পক্ষ থেকে মার্কিন কূটনীতিককে একটি জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়।

সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. আমিনা রহমান, আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান।

সাক্ষাৎকার শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে রিফর্মস, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনো সিকিউরিটি থ্রেট আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের এ অঞ্চলে যে সিকিউরিটি থ্রেট আছে সে ব্যাপারে উনারা আমাদের স্ট্যান্ডিং জানতে চেয়েছেন। টেররিজমের ব্যাপারে আমাদের ভিউজ এবং বাংলাদেশের পজিশন জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে তাদের অবহিত করেছি।

তিনি বলেন, আমরা ক্লিয়ার বলে দিয়েছি যে, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাচ্ছি। আমরা বেসিক রিফর্মস চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে সে ব্যাপারে আমরা জিরো ভূমিকায় আছি। আমরা করাপশন ফ্রি একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের অলওয়েজ ডেমোক্রেসির পক্ষে স্ট্যান্ডিং রয়েছে। আমরা এটাও বলেছি যে, আমাদের ফরেন পলিসি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। একটা জেনারেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অব থিওরি এবং থিম যেভাবে কাজ করে, আমরা সেভাবেই কাজ করতে চাই- উইথ মিউচুয়াল রেসপেক্ট আন্ডারস্টাডিং অ্যান্ড কমিউনিকেসন্স। আমরা এটাও বলেছি যে, সব নেইবরিং কান্ট্রির সঙ্গে কনজেনিয়াল এটমোসফিয়ার-এ গুড নেইবারহুড-এর যে প্রিন্সিপল অ্যান্ড পলিসি আছে উইথ সিকিউরিটি অ্যান্ড রাইটস আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। মৌলিকভাবে এই কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছে।

ডা. তাহের বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও বেটার হবে এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগেও তারা কাজ করেছেন এবং আগামীতে আরও বেশি ক্লোজলি তারা কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমিরে জামায়াতে একটি বিষয় তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, সেটা হলো ট্যারিফ সম্পর্কে। আমেরিকা আমাদের ব্যবসার উপর ৩০ ভাগ ট্যারিফ বসিয়ে দিয়েছে; যেটা আমাদের দেশের স্পেশালি গার্মেন্টস সেক্টরকে সাংঘাতিকভাবে এ্যাফেক্ট করবে। আমিরে জামায়াত অ্যাম্বাসেডরের মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নমেন্টকে স্পেশাল অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে যেন কনসিডার করেন যাতে ট্যারিফ কমিয়ে দিয়ে একটা সহনীয় পর্যায় এনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড যেসব গুডস আছে সেগুলো আমরা অব্যাহত রাখতে পারি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওভারঅল আমাদের সিকিউরিটি ইস্যু, ল’ ইস্যু এবং ইলেকশনের জন্য যে প্রস্তুতি, ফেয়ার করার জন্য যেসব অ্যারেঞ্জমেন্ট, রিফর্মস আছে সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো দেশের ব্যাপারে আমাদের কথা হয়নি। আঞ্চলিক ইস্যুতে তো আমাদেরও কনসার্ন আছে। যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা করা সম্ভব এবং প্রয়োজনে সেখানে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব ক্লিয়ার; মানবতাবিরোধী, আমাদের কালচারবিরোধী, আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনবিরোধী যদি কোনো কিছু থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা এটার বিরোধিতা করব এবং আমরা বিরোধিতা করছি। যদি পজেটিভ হেল্প করার জন্য এটা এক্সপানশন হয় তাহলে তো ইটস ওকে। এজন্য আমাদের স্ট্যান্ডকে ক্লিয়ারলি অবজারভেশনে রেখে আমরা আমাদের ভূমিকা নির্ধারণ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ট্রেসি এ্যান জ্যাকবসন এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা জেমস স্টুয়ার্ট। সৌজন্য বৈঠকের এক পর্যায়ে মহিলা জামায়াতের নেতাদের পক্ষ থেকে মার্কিন কূটনীতিককে একটি জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়।

সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. আমিনা রহমান, আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান।

সাক্ষাৎকার শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে রিফর্মস, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনো সিকিউরিটি থ্রেট আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের এ অঞ্চলে যে সিকিউরিটি থ্রেট আছে সে ব্যাপারে উনারা আমাদের স্ট্যান্ডিং জানতে চেয়েছেন। টেররিজমের ব্যাপারে আমাদের ভিউজ এবং বাংলাদেশের পজিশন জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে তাদের অবহিত করেছি।

তিনি বলেন, আমরা ক্লিয়ার বলে দিয়েছি যে, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাচ্ছি। আমরা বেসিক রিফর্মস চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে সে ব্যাপারে আমরা জিরো ভূমিকায় আছি। আমরা করাপশন ফ্রি একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের অলওয়েজ ডেমোক্রেসির পক্ষে স্ট্যান্ডিং রয়েছে। আমরা এটাও বলেছি যে, আমাদের ফরেন পলিসি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। একটা জেনারেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অব থিওরি এবং থিম যেভাবে কাজ করে, আমরা সেভাবেই কাজ করতে চাই- উইথ মিউচুয়াল রেসপেক্ট আন্ডারস্টাডিং অ্যান্ড কমিউনিকেসন্স। আমরা এটাও বলেছি যে, সব নেইবরিং কান্ট্রির সঙ্গে কনজেনিয়াল এটমোসফিয়ার-এ গুড নেইবারহুড-এর যে প্রিন্সিপল অ্যান্ড পলিসি আছে উইথ সিকিউরিটি অ্যান্ড রাইটস আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। মৌলিকভাবে এই কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছে।

ডা. তাহের বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও বেটার হবে এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগেও তারা কাজ করেছেন এবং আগামীতে আরও বেশি ক্লোজলি তারা কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমিরে জামায়াতে একটি বিষয় তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, সেটা হলো ট্যারিফ সম্পর্কে। আমেরিকা আমাদের ব্যবসার উপর ৩০ ভাগ ট্যারিফ বসিয়ে দিয়েছে; যেটা আমাদের দেশের স্পেশালি গার্মেন্টস সেক্টরকে সাংঘাতিকভাবে এ্যাফেক্ট করবে। আমিরে জামায়াত অ্যাম্বাসেডরের মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নমেন্টকে স্পেশাল অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে যেন কনসিডার করেন যাতে ট্যারিফ কমিয়ে দিয়ে একটা সহনীয় পর্যায় এনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড যেসব গুডস আছে সেগুলো আমরা অব্যাহত রাখতে পারি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওভারঅল আমাদের সিকিউরিটি ইস্যু, ল’ ইস্যু এবং ইলেকশনের জন্য যে প্রস্তুতি, ফেয়ার করার জন্য যেসব অ্যারেঞ্জমেন্ট, রিফর্মস আছে সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো দেশের ব্যাপারে আমাদের কথা হয়নি। আঞ্চলিক ইস্যুতে তো আমাদেরও কনসার্ন আছে। যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা করা সম্ভব এবং প্রয়োজনে সেখানে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব ক্লিয়ার; মানবতাবিরোধী, আমাদের কালচারবিরোধী, আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনবিরোধী যদি কোনো কিছু থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা এটার বিরোধিতা করব এবং আমরা বিরোধিতা করছি। যদি পজেটিভ হেল্প করার জন্য এটা এক্সপানশন হয় তাহলে তো ইটস ওকে। এজন্য আমাদের স্ট্যান্ডকে ক্লিয়ারলি অবজারভেশনে রেখে আমরা আমাদের ভূমিকা নির্ধারণ করব।