ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নশিপুর ইউপিতে বিনামূল্যে চারাগাছ বিতরনে সাবেক এমপি লালু Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৯ Logo চাটমোহরের হান্ডিয়াল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম সবুর মিঞা আর নেই Logo বগুড়ায় “চলনবিলের সময়” পত্রিকার সাংবাদকর্মীদের মাঝে হাসিমুখে পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রদান Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি

পাবনা জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পদ্মা ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি। সেই সঙ্গে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে হাট-বাজার, ফেরিঘাট, মৎস্য আড়ৎ ও পার্ক।

সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বে পদ্মার দানবীয় থাবায় সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে উপজেলার হরিরামপুর, সিংহনগর, বিলমাদিয়া, ফকিতপুর, সিন্দুরপুর, কন্দর্পপুর, ইন্দ্রজিতপুর, কাদিরপুর ও চররাজপুর গ্রামসহ মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, রাইপুর বাজার ও রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া নদীর বুকে হারিয়ে গেছে ওই সকল গ্রামের মানুষের হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি ও গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত ওই সকল গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর এবং ফসলী জমিসহ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। গত চলতি বর্ষা মৌসুমে আবার পদ্মা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, তারাবাড়ীয়া, নিশ্চিন্তপুর, শ্যামনগর, ভাটপাড়া, গুপিনপুর, মালিফা, মালফিয়া, গোয়ারিয়া, কামারহাট, মহনপুর, মহব্বতপুর, নাজিরগঞ্জ, হাসামপুর এবং বড়খাপুর গ্রামসহ ফসলী জমি। সেই সঙ্গে তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, নাজিরগঞ্জ বাজার, রাইপুর হাট, সাতবাড়ীয়া মৎস্য আড়ৎ, সাতবাড়ীয়া কাঞ্চন পার্ক ও সাতবাড়ীয়া পদ্মা রিসোর্ট। ভাঙ্গন কবলিত নারুহাটি গ্রামের পরেশ হালদার জানান, ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে তার ফসলী জমি এবং গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে বসত ভিটা টুকুও নদীতে হারিয়ে যাবে। নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। অন্যথায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাতবাড়ীয়া মৎস্য আড়তের আড়তদার ঝন্টু শেখ বলেন পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মৎস্য আড়ৎসহ আশপাশের বাড়ীঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে পাউবো বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি

আপডেট সময় : ০১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

পদ্মা ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি। সেই সঙ্গে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে হাট-বাজার, ফেরিঘাট, মৎস্য আড়ৎ ও পার্ক।

সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বে পদ্মার দানবীয় থাবায় সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে উপজেলার হরিরামপুর, সিংহনগর, বিলমাদিয়া, ফকিতপুর, সিন্দুরপুর, কন্দর্পপুর, ইন্দ্রজিতপুর, কাদিরপুর ও চররাজপুর গ্রামসহ মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, রাইপুর বাজার ও রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া নদীর বুকে হারিয়ে গেছে ওই সকল গ্রামের মানুষের হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি ও গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত ওই সকল গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর এবং ফসলী জমিসহ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। গত চলতি বর্ষা মৌসুমে আবার পদ্মা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, তারাবাড়ীয়া, নিশ্চিন্তপুর, শ্যামনগর, ভাটপাড়া, গুপিনপুর, মালিফা, মালফিয়া, গোয়ারিয়া, কামারহাট, মহনপুর, মহব্বতপুর, নাজিরগঞ্জ, হাসামপুর এবং বড়খাপুর গ্রামসহ ফসলী জমি। সেই সঙ্গে তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, নাজিরগঞ্জ বাজার, রাইপুর হাট, সাতবাড়ীয়া মৎস্য আড়ৎ, সাতবাড়ীয়া কাঞ্চন পার্ক ও সাতবাড়ীয়া পদ্মা রিসোর্ট। ভাঙ্গন কবলিত নারুহাটি গ্রামের পরেশ হালদার জানান, ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে তার ফসলী জমি এবং গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে বসত ভিটা টুকুও নদীতে হারিয়ে যাবে। নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। অন্যথায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাতবাড়ীয়া মৎস্য আড়তের আড়তদার ঝন্টু শেখ বলেন পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মৎস্য আড়ৎসহ আশপাশের বাড়ীঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে পাউবো বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ করা হবে।