ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ব্যাঙ্কে ঢুকে ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে চেক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাদপুরে ব্যাঙ্কে ঢুকে চেক ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাবসায়ীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার বাঘাবাড়ি জনতা ব্যাংক শাখায় চেক ডিজঅনারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার (২০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে ব্যাংকের ভেতরে এ সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের শাখা ব্যাবস্থাপক মোঃ আলমগীর হোসেন গতকাল সোমবার (২১) জুলাই শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, আমির হামজা নামে এক ব্যাবসায়ী জনতা ব্যাংকের বাঘাবাড়ি শাখায় তার প্রতিবেশী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শুকুর আলীর ব্যাংক হিসাব থেকে ৯৬ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য একটি চেক জমা দেন। একই সময়ে শুকুর আলীর ভাই মফিজ উদ্দিন ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে ওই চেকটি নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং ব্যাবসায়ী আমির হামজার উপর হামলা করেন। এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং এ সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়। পরে শাহজাদপুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, আলোকদিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন ও তার দুই ছেলে সেলিম রেজা এবং শিহাব উদ্দিন। অপরপক্ষে আহত হয়েছেন আমির হামজা ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ জানান, “হাসপাতালে আসা আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যান।

হামলার শিকার ব্যাবসায়ী আমির হামজা বলেন, “ব্যবসায়িক কারণে শুকুর আলীর কাছে আমার ৯৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। সে আমাকে ওই টাকার চেক দেন। ১০ জুলাই আমি তা ব্যাংকে জমা দিই। রবিবার ডিজঅনার করার কথা জানানো হলে আমি এবং আমার ছেলে ব্যাংকে যাই। তখন মফিজ উদ্দিন ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায় এবং চেকটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে

এ ঘটনার পর ব্যাংকের মতো স্পর্শকাতর ও নিরাপদ স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক আলোড়ন ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ব্যাঙ্কের সিনিয়র অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, মেসার্স আমির হামজা ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর ৯৬ লাখ টাকার একটি চেক উপস্থাপন করেন। চেক উপস্থাপন করার সময় ঐ একাউন্টে টাকা না থাকায় একাউন্ট হোল্ডার শুকুর আলীকে জানালে তিনি ১০ দিনের সময় নেন। চেয়ে নেওয়া সময়ে একাউন্টে টাকা না দেওয়ায় রবিবার চেক ডিজঅর্নারের সকল কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। ডিজঅর্নার করা চেকটি একটি ছেলে এসে অতর্কিত ভাবে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি মোঃ আছলাম আলী জানান, চেক ডিজঅর্নার করা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ব্যাঙ্কে ঢুকে ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে চেক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

শাহজাদপুরে ব্যাঙ্কে ঢুকে চেক ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাবসায়ীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার বাঘাবাড়ি জনতা ব্যাংক শাখায় চেক ডিজঅনারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার (২০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে ব্যাংকের ভেতরে এ সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের শাখা ব্যাবস্থাপক মোঃ আলমগীর হোসেন গতকাল সোমবার (২১) জুলাই শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, আমির হামজা নামে এক ব্যাবসায়ী জনতা ব্যাংকের বাঘাবাড়ি শাখায় তার প্রতিবেশী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শুকুর আলীর ব্যাংক হিসাব থেকে ৯৬ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য একটি চেক জমা দেন। একই সময়ে শুকুর আলীর ভাই মফিজ উদ্দিন ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে ওই চেকটি নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং ব্যাবসায়ী আমির হামজার উপর হামলা করেন। এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং এ সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়। পরে শাহজাদপুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, আলোকদিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন ও তার দুই ছেলে সেলিম রেজা এবং শিহাব উদ্দিন। অপরপক্ষে আহত হয়েছেন আমির হামজা ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ জানান, “হাসপাতালে আসা আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যান।

হামলার শিকার ব্যাবসায়ী আমির হামজা বলেন, “ব্যবসায়িক কারণে শুকুর আলীর কাছে আমার ৯৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। সে আমাকে ওই টাকার চেক দেন। ১০ জুলাই আমি তা ব্যাংকে জমা দিই। রবিবার ডিজঅনার করার কথা জানানো হলে আমি এবং আমার ছেলে ব্যাংকে যাই। তখন মফিজ উদ্দিন ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায় এবং চেকটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে

এ ঘটনার পর ব্যাংকের মতো স্পর্শকাতর ও নিরাপদ স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক আলোড়ন ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ব্যাঙ্কের সিনিয়র অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, মেসার্স আমির হামজা ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর ৯৬ লাখ টাকার একটি চেক উপস্থাপন করেন। চেক উপস্থাপন করার সময় ঐ একাউন্টে টাকা না থাকায় একাউন্ট হোল্ডার শুকুর আলীকে জানালে তিনি ১০ দিনের সময় নেন। চেয়ে নেওয়া সময়ে একাউন্টে টাকা না দেওয়ায় রবিবার চেক ডিজঅর্নারের সকল কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। ডিজঅর্নার করা চেকটি একটি ছেলে এসে অতর্কিত ভাবে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি মোঃ আছলাম আলী জানান, চেক ডিজঅর্নার করা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।