ফিনালিসিমা আয়োজন করতে চায় উরুগুয়ে

- আপডেট সময় : ০১:১৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

কোপা আমেরিকা ও ইউরো জয়ের পর দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াই—ফিনালিসিমা ২০২৬—ঘিরে জমে উঠছে উত্তেজনা। আর্জেন্টিনা বনাম স্পেনের মধ্যকার এই ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে ছিল অনেক জল্পনা-কল্পনা। এবার সেই তালিকায় জোরালোভাবে ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ আমেরিকার একটি ঐতিহাসিক ভেন্যু—উরুগুয়ের সেন্টেনারিও স্টেডিয়াম।
উরুগুয়ের ফুটবল ফেডারেশন ইতোমধ্যেই এই ম্যাচ আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামকে ভেন্যু করার জন্য শুরু হয়েছে প্রস্তুতিও। মার্চ ১৭ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচের সময়সূচি নিশ্চিত হলেও, ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত নয়। শুরুতে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও সৌদি আরবের নাম শোনা গেলেও শেষদিকে উরুগুয়ে হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এই ফিনালিসিমাকে ঘিরে উরুগুয়ের প্রস্তাবটা শুধু একটি ম্যাচ আয়োজনের কথা নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফুটবল ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের ভেন্যু ছিল মন্টেভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়াম। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে শতবর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সেখানে হবে উদ্বোধনী ম্যাচ, এরপর আসর সরে যাবে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোয়।
এর আগে সেন্টেনারিওতে ফিনালিসিমা আয়োজনের প্রস্তাবকে ধরা হচ্ছে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন হিসেবে। কারণ, এটি হতে পারে এই কিংবদন্তি স্টেডিয়ামে সংস্কারের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কিছু ঘোষিত হয়নি, তবে উরুগুয়ের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ২০২৩ সালে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফিনালিসিমায় ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার তারাই শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে।
এ ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়া এবং স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান রাফায়েল লাউজানের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে গত মে মাসে আসুনসিওনে অনুষ্ঠিত ফিফার ৭৫তম কংগ্রেসে। সেখানেই আলোচনার সূচনা, যা এখন বাস্তবতার কাছাকাছি।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে মার্চ ২০২৬-এ ফুটবল বিশ্ব আরও একবার দেখতে পাবে চ্যাম্পিয়নদের লড়াই। আর যদি ভেন্যু হয় ঐতিহাসিক সেন্টেনারিও, তাহলে তা হয়ে উঠবে শুধু একটি ম্যাচ নয়—একটি আবেগ, একটি ঐতিহ্যের পুনর্জন্ম।