ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

অভাব-অনটন থেকে মুক্তি মিলবে যে দোয়ায়

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধনসম্পদ বা হালাল সম্পদ আল্লাহর তা’আলার বিশেষ নেয়ামত। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সম্পদ না দিয়ে অভাব অনটনে রেখে ইমানের পরীক্ষা করেন। কিন্তু দুর্বল ইমানদার হওয়ার কারণে অনেকে ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন।

অভাব-অনটন থেকে মুক্তি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেছিলেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দান করব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই শাস্তি হবে কঠোর। (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

মহানবী রাসূল সা. এমন পরিস্থিতিতে এই দোয়াটি পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই দোয়ার বরকতে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের অভাব-অনটন দূর করে দেবেন।

অভাব দূর হওয়ার দোয়া

اللّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أو أُظْلَمَ

উচ্চারণ- “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলিমা।” (আবু দাউদ, হাদিস -১৫৪৪)।

বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী (জিললতি) থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারো দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে।’

আরও একটি দোয়া হলো-

اللّٰهُمَّ رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَكُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡكَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনজিল আলাইনা মায়িদাতাম মিনাস সামায়ি তাকানু লানা ঈদান লিআওয়ালিনা ওয়াআখিরিনা ওয়া আয়াতাম মিনকা। ওয়ার জুকনা ওয়া আনতা খাইরুর রজিকিন। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ১১৪)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাজিল করুন, যা আমাদের জন্য আনন্দের কারণ হবে; আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্যও। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। এ ছাড়া আমাদের রিজিক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি) আল্লাহতায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮ )

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অভাব-অনটন থেকে মুক্তি মিলবে যে দোয়ায়

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ধনসম্পদ বা হালাল সম্পদ আল্লাহর তা’আলার বিশেষ নেয়ামত। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সম্পদ না দিয়ে অভাব অনটনে রেখে ইমানের পরীক্ষা করেন। কিন্তু দুর্বল ইমানদার হওয়ার কারণে অনেকে ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন।

অভাব-অনটন থেকে মুক্তি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেছিলেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দান করব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই শাস্তি হবে কঠোর। (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

মহানবী রাসূল সা. এমন পরিস্থিতিতে এই দোয়াটি পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই দোয়ার বরকতে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের অভাব-অনটন দূর করে দেবেন।

অভাব দূর হওয়ার দোয়া

اللّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أو أُظْلَمَ

উচ্চারণ- “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলিমা।” (আবু দাউদ, হাদিস -১৫৪৪)।

বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী (জিললতি) থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারো দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে।’

আরও একটি দোয়া হলো-

اللّٰهُمَّ رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَكُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡكَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনজিল আলাইনা মায়িদাতাম মিনাস সামায়ি তাকানু লানা ঈদান লিআওয়ালিনা ওয়াআখিরিনা ওয়া আয়াতাম মিনকা। ওয়ার জুকনা ওয়া আনতা খাইরুর রজিকিন। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ১১৪)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাজিল করুন, যা আমাদের জন্য আনন্দের কারণ হবে; আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্যও। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। এ ছাড়া আমাদের রিজিক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি) আল্লাহতায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮ )