ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

দেশের একজন বড় শত্রু গ্রেপ্তার হলেন : মির্জা ফখরুল

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের গ্রেপ্তারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশের একজন বড় শত্রু গ্রেপ্তার হলেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বিলম্বে হলেও এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সরকার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত হবে এবং সঠিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। দেশের একজন বড় শত্রু অবশেষে গ্রেপ্তার হলো—এটা জাতির জন্য স্বস্তির বিষয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, কারণ বাংলাদেশের একজন বড় শত্রু—যিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশের বিপুল ক্ষতি করেছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি এমন একটি পদে ছিলেন, যেখান থেকে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। কিন্তু সে জায়গায় তিনি জনগণ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন এবং পরে যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ ছিল। সেই রায় দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে বলে আমরা মনে করি। তার এই বেআইনি ও রাষ্ট্রবিরোধী ভূমিকার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক সংকট তৈরিতে নিঃসন্দেহে খায়রুল হক দায়ী ছিলেন, তার কী ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংকটের জন্য তিনি শতভাগ দায়ী। তবে শাস্তির বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলতে চাই না। আইন অনুযায়ী যেসব বিধান আছে, তা অনুসরণ করেই তাকে প্রসিকিউট করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তবে আমি মনে করি, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করার সাহস না পায়। শুধু তিনি নন, যারা এ ধরনের অপকর্মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রায়ের পরই দেশের সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এর পর থেকেই দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটের সূচনা ঘটে, যা জাতিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমরা মনে করি, বিচার বিভাগ এমন একটি সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, যেখানে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থাকে। কিন্তু তিনি সে আস্থার জায়গাটি ধ্বংস করেছেন—শুধু তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার কারণে। এতে করে দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, কার্জন হলের উল্টো পাশে, হাইকোর্টের পাশেই অবস্থিত শিশু একাডেমির ভবনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে আলোচনা চলছে বা এরকম কোনো প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। এই বিরোধিতার কারণ হলো—শিশু একাডেমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক, সৃজনশীল ও নৈতিক বিকাশের জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং তিনিই এটি প্রথম চালু করেন। বর্তমানে এটি সারা দেশে শাখা বিস্তার করেছে। তাই আমরা মনে করি, শিশু একাডেমিকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি জাতি গঠনের পথে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, শিশু একাডেমির ভবনটি যেন স্থানান্তর বা অপসারণ না করা হয়।

এই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের একজন বড় শত্রু গ্রেপ্তার হলেন : মির্জা ফখরুল

উত্তরায় তিন শিশুর কবর জিয়ারত

উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। সকাল ১১টায় তিনি উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেকের কাছে একটি পারিবারিক কবরস্থানে যান। সেখানে এক পরিবারের তিন শিক্ষার্থী শায়িত আছে। বিএনপি মাইলস্টোন স্কুলের তিন শিক্ষার্থী আরিয়ান, হুমায়ূরা ও বাপ্পির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর সেখানে আরও দুই শহীদ জুনায়েদ ও শারিয়ার করবও জিয়ারত করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।

এ সময় মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর, কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেশের একজন বড় শত্রু গ্রেপ্তার হলেন : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের গ্রেপ্তারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশের একজন বড় শত্রু গ্রেপ্তার হলেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বিলম্বে হলেও এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সরকার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত হবে এবং সঠিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। দেশের একজন বড় শত্রু অবশেষে গ্রেপ্তার হলো—এটা জাতির জন্য স্বস্তির বিষয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, কারণ বাংলাদেশের একজন বড় শত্রু—যিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশের বিপুল ক্ষতি করেছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি এমন একটি পদে ছিলেন, যেখান থেকে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। কিন্তু সে জায়গায় তিনি জনগণ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন এবং পরে যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ ছিল। সেই রায় দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে বলে আমরা মনে করি। তার এই বেআইনি ও রাষ্ট্রবিরোধী ভূমিকার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক সংকট তৈরিতে নিঃসন্দেহে খায়রুল হক দায়ী ছিলেন, তার কী ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংকটের জন্য তিনি শতভাগ দায়ী। তবে শাস্তির বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলতে চাই না। আইন অনুযায়ী যেসব বিধান আছে, তা অনুসরণ করেই তাকে প্রসিকিউট করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তবে আমি মনে করি, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করার সাহস না পায়। শুধু তিনি নন, যারা এ ধরনের অপকর্মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রায়ের পরই দেশের সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এর পর থেকেই দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটের সূচনা ঘটে, যা জাতিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমরা মনে করি, বিচার বিভাগ এমন একটি সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, যেখানে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থাকে। কিন্তু তিনি সে আস্থার জায়গাটি ধ্বংস করেছেন—শুধু তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার কারণে। এতে করে দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, কার্জন হলের উল্টো পাশে, হাইকোর্টের পাশেই অবস্থিত শিশু একাডেমির ভবনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে আলোচনা চলছে বা এরকম কোনো প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। এই বিরোধিতার কারণ হলো—শিশু একাডেমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক, সৃজনশীল ও নৈতিক বিকাশের জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং তিনিই এটি প্রথম চালু করেন। বর্তমানে এটি সারা দেশে শাখা বিস্তার করেছে। তাই আমরা মনে করি, শিশু একাডেমিকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি জাতি গঠনের পথে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, শিশু একাডেমির ভবনটি যেন স্থানান্তর বা অপসারণ না করা হয়।

এই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের একজন বড় শত্রু গ্রেপ্তার হলেন : মির্জা ফখরুল

উত্তরায় তিন শিশুর কবর জিয়ারত

উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। সকাল ১১টায় তিনি উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেকের কাছে একটি পারিবারিক কবরস্থানে যান। সেখানে এক পরিবারের তিন শিক্ষার্থী শায়িত আছে। বিএনপি মাইলস্টোন স্কুলের তিন শিক্ষার্থী আরিয়ান, হুমায়ূরা ও বাপ্পির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর সেখানে আরও দুই শহীদ জুনায়েদ ও শারিয়ার করবও জিয়ারত করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।

এ সময় মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর, কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।