ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

৩৬তম বিয়ের পর পাত্রী দেখতে গিয়ে বিপত্তি, অতঃপর…

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৩৭তম বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান মো. সদরুল ইসলাম (৪৫)। এ সময় তার অসংলগ্ন আচরণে বাধে বিপত্তি। এতে সন্দেহ হলে, এর আগে প্রতারণা করে তার ৩৬টি বিয়ের খবর মেলে।

পরে সদরুল ও তার এক সহযোগীকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাঠানপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক সদরুল ইসলাম নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষ পুকুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে তিনি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের আব্দুর রউফ আকন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়েতে ৫ লাখ টাকা কাবিন ধার্য থাকলেও, বিয়ের আগে তিনি যৌতুক হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। তবে বিয়ের মাত্র আড়াই দিনের মাথায় তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সম্প্রতি তিনি ফের বিয়ের উদ্দেশে পাত্রী দেখতে ক্ষেতলালের হোপপীর হাট এলাকায় যান। স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলাম তাকে পাত্রী দেখানোর সময় তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। সদরুলের অসংলগ্ন আচরণে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হলে আমিরুল স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করেন।

খবর পেয়ে পাঁচবিবির ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সদরুল ও তার সহযোগী আব্দুর রহিমকে (৫৫) শনাক্ত করেন। এরপর উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক আব্দুর রহিম একই এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম কামাল হোসাইন কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আসলেই প্রতারক চক্রের সদস্য। পরে ভুক্তভোগীর বক্তব্য থেকে জানতে পারি সদরুল ইতোপূর্বেও বগুড়া, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণার করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৩৬তম বিয়ের পর পাত্রী দেখতে গিয়ে বিপত্তি, অতঃপর…

আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৩৭তম বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান মো. সদরুল ইসলাম (৪৫)। এ সময় তার অসংলগ্ন আচরণে বাধে বিপত্তি। এতে সন্দেহ হলে, এর আগে প্রতারণা করে তার ৩৬টি বিয়ের খবর মেলে।

পরে সদরুল ও তার এক সহযোগীকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাঠানপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক সদরুল ইসলাম নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষ পুকুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে তিনি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের আব্দুর রউফ আকন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়েতে ৫ লাখ টাকা কাবিন ধার্য থাকলেও, বিয়ের আগে তিনি যৌতুক হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। তবে বিয়ের মাত্র আড়াই দিনের মাথায় তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সম্প্রতি তিনি ফের বিয়ের উদ্দেশে পাত্রী দেখতে ক্ষেতলালের হোপপীর হাট এলাকায় যান। স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলাম তাকে পাত্রী দেখানোর সময় তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। সদরুলের অসংলগ্ন আচরণে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হলে আমিরুল স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করেন।

খবর পেয়ে পাঁচবিবির ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সদরুল ও তার সহযোগী আব্দুর রহিমকে (৫৫) শনাক্ত করেন। এরপর উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক আব্দুর রহিম একই এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম কামাল হোসাইন কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আসলেই প্রতারক চক্রের সদস্য। পরে ভুক্তভোগীর বক্তব্য থেকে জানতে পারি সদরুল ইতোপূর্বেও বগুড়া, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণার করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।