ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মতি, তবুও চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ০১:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সম্মতিতে পৌঁছালেও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি। রোববার (২৭ জুলাই) টানা চতুর্থ দিনের মতো সীমান্তে গোলা বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এএফপি ও কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে দুটি বিতর্কিত মন্দির এলাকার কাছে সংঘর্ষ শুরু হয়। সামরাং শহর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে, যা সংঘর্ষস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।

শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, দুই দেশের নেতারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান এই সীমান্ত সংঘাত বন্ধে তার দেশ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহী। একই সঙ্গে তিনি ব্যাংকককে সতর্ক করে বলেন, তারা যেন কোনো চুক্তি লঙ্ঘন না করে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে জানান, স্কটল্যান্ড সফরের সময় তিনি প্রথমে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং পরে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দুপক্ষই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, সংঘাত না থামলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশ দুটির বাণিজ্য চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার দেশ নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকেও আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত বিরোধ শত বছরের পুরোনো। চলতি বছরের মে মাসে উত্তেজনা শুরু হলে গত বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চেয়া কেও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মতি, তবুও চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা

আপডেট সময় : ০১:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সম্মতিতে পৌঁছালেও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি। রোববার (২৭ জুলাই) টানা চতুর্থ দিনের মতো সীমান্তে গোলা বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এএফপি ও কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে দুটি বিতর্কিত মন্দির এলাকার কাছে সংঘর্ষ শুরু হয়। সামরাং শহর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে, যা সংঘর্ষস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।

শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, দুই দেশের নেতারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান এই সীমান্ত সংঘাত বন্ধে তার দেশ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহী। একই সঙ্গে তিনি ব্যাংকককে সতর্ক করে বলেন, তারা যেন কোনো চুক্তি লঙ্ঘন না করে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে জানান, স্কটল্যান্ড সফরের সময় তিনি প্রথমে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং পরে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দুপক্ষই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, সংঘাত না থামলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশ দুটির বাণিজ্য চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার দেশ নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকেও আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত বিরোধ শত বছরের পুরোনো। চলতি বছরের মে মাসে উত্তেজনা শুরু হলে গত বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চেয়া কেও।