১১ দিনেও উদ্ধার হয়নি কর্ণফুলীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ

- আপডেট সময় : ০১:০৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ডুবে যাওয়ার ১১ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি এমভি সাবিত হোসেন নামের একটি জাহাজ, যা এখন চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের জন্য হুমকি হিসেবে সামনে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে এই জাহাজে আটকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই চ্যানেলে চলাচল করা বাকি জাহাজগুলোও।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই রাত প্রায় দেড়টায় ইনারবার বয়া নং ২ অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি মার্শ শামিমা (লাইটার জাহাজ) এম নং ১-৩০২৯ জাহাজটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ডুবে যায় এমভি সাবিত হোসেন জাহাজটি। ডুবে যাওয়া জাহাজটি ‘ফরচুন নেভিগেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকধীন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া জাহাজটি এই চ্যানেলের জন্য এখন ক্ষতিকর। গত ১৫ জুলাই ডুবে যাওয়া জাহাজটি খুব দ্রুত উদ্ধারের বিষয়ে মালিকপক্ষকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
এমভি সাবিত হোসেন জাহাজের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন বলেন, সেদিন এমভি সাবিত হোসেন নৌ-পরিবহন ও চলাচল আইনে সর্বোচ্চ সতর্ক অবলম্বন করেছিল। অথচ চলন্ত অবস্থায় নৌ-চলাচলের নিয়ম অনুযায়ী সেই মার্শ শামিমাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত দেওয়ার পরও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে নৌযান চলাচলের নিয়ম ভঙ্গ করেছিল।
তিনি বলেন, আমাদের মালিকানাধীন এমভি সাবিত হোসেনকে সজোরে আঘাত করে আরও তীব্র গতিতে চালিয়ে আউটারের দিকে চলে যায়। এমভি মার্শ শামিমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই চল্লিশ লাখ টাকার বেশি মালামালসহ (স্ল্যাগ) ৬ কোটি টাকার মূল্যের আমাদের লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ওই মামলায় অভিযুক্ত মার্শ শামিমা জাহাজের মালিকপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।