ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ইনডাইরেক্টলি সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপের চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিমুহূর্তে সংস্কারের কথা বলছেন। ইনডাইরেক্টলি রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। বলার চেষ্টা করছে যে, আমরা সহযোগিতা করছি না। তাদের এ কথাগুলো সঠিক নয়। আমরা সর্বক্ষণ তাদের এই সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে সহযোগিতা করছি। আমরা সারাক্ষণ সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’

সোমবার (২৮ জুলাই) জাতীয় জাদুঘর সামনে গণঅভ্যুত্থান মাসব্যাপী কর্মসূচি যুবদলের গ্রাফিতি আর্টিস উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনার বিচারের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু দেখতে পেলাম না, কেন দেখা যায়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক বছর হয়ে গেল, এখনো হাসিনার গণহত্যার বিচারকাজ শুরু হয়নি কেন? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন কিছু বিষয় নিয়ে আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছি, যা বাংলাদেশ আবারও পিছিয়ে ফেলে দিতে পারে। ফ্যাসিস্টদের শক্তি জোগাতে পারে। নতুন করে ফ্যাসিস্টদের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, খুন-গুম করা হয়েছে, নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। গত জুলাই মাসেও আমাদের সব অঙ্গসংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি অফিসে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। সিনিয়র নেতাদেরও অত্যাচার করা হয়েছে৷ কিন্তু একবারের জন্য আমাদের নেতারাদের কেউ আত্মসমর্পণ করেনি। আমাদের কোনো নেতাই সেদিন মুচলেকা দেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, টেলিভিশনে পত্রপত্রিকায় এখন ডিবি অফিসের ছবি দেখানো হয়। আমাদের নেতাকর্মীদের নখ তুলে নেওয়া হয়েছিল, হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছিল তাদের ছবি গণমাধ্যমে আসে না। গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দয়া করে আপনারা সাদাকে সাদা বলবেন, কালোকে কালো বলবেন। যার যে অবদান আছে, সেই অবদানকে স্বীকার করবেন। এ সময় জুলাই আন্দোলনের যুবদলের ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশ নেমে এসেছিল জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু কয়েকটি দল, কয়েকটি ছেলে নয়। পাঁচ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স্ক মানুষ সেদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে কেউ এখন কথা বলে না। দেশে গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছেন। তাকে নিয়ে কথা বলার আহ্বান করেন মির্জা ফখরুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইনডাইরেক্টলি সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপের চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিমুহূর্তে সংস্কারের কথা বলছেন। ইনডাইরেক্টলি রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। বলার চেষ্টা করছে যে, আমরা সহযোগিতা করছি না। তাদের এ কথাগুলো সঠিক নয়। আমরা সর্বক্ষণ তাদের এই সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে সহযোগিতা করছি। আমরা সারাক্ষণ সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’

সোমবার (২৮ জুলাই) জাতীয় জাদুঘর সামনে গণঅভ্যুত্থান মাসব্যাপী কর্মসূচি যুবদলের গ্রাফিতি আর্টিস উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনার বিচারের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু দেখতে পেলাম না, কেন দেখা যায়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক বছর হয়ে গেল, এখনো হাসিনার গণহত্যার বিচারকাজ শুরু হয়নি কেন? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন কিছু বিষয় নিয়ে আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছি, যা বাংলাদেশ আবারও পিছিয়ে ফেলে দিতে পারে। ফ্যাসিস্টদের শক্তি জোগাতে পারে। নতুন করে ফ্যাসিস্টদের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, খুন-গুম করা হয়েছে, নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। গত জুলাই মাসেও আমাদের সব অঙ্গসংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি অফিসে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। সিনিয়র নেতাদেরও অত্যাচার করা হয়েছে৷ কিন্তু একবারের জন্য আমাদের নেতারাদের কেউ আত্মসমর্পণ করেনি। আমাদের কোনো নেতাই সেদিন মুচলেকা দেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, টেলিভিশনে পত্রপত্রিকায় এখন ডিবি অফিসের ছবি দেখানো হয়। আমাদের নেতাকর্মীদের নখ তুলে নেওয়া হয়েছিল, হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছিল তাদের ছবি গণমাধ্যমে আসে না। গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দয়া করে আপনারা সাদাকে সাদা বলবেন, কালোকে কালো বলবেন। যার যে অবদান আছে, সেই অবদানকে স্বীকার করবেন। এ সময় জুলাই আন্দোলনের যুবদলের ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশ নেমে এসেছিল জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু কয়েকটি দল, কয়েকটি ছেলে নয়। পাঁচ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স্ক মানুষ সেদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে কেউ এখন কথা বলে না। দেশে গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছেন। তাকে নিয়ে কথা বলার আহ্বান করেন মির্জা ফখরুল।