ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

রোনালদোর কারণেই আল-নাসরে যাচ্ছেন ফেলিক্স!

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ব ফুটবলে একের পর এক বড় নাম যখন সৌদি প্রো-লিগে নাম লেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই নতুন করে আলোচনায় এলেন পর্তুগিজ তরুণ তারকা জোয়াও ফেলিক্স। সাবেক অ্যাতলেটিকো ও চেলসি ফরোয়ার্ড এবার যাচ্ছেন আল-নাসরে, আর তাকে সেখানে নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সৌদি প্রো-লিগের সবচেয়ে বড় নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিজেই!

ফ্রেঞ্চ ফুটবল সাইট Foot Mercato জানিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী রোনালদো নাকি ফেলিক্সকে রাজি করাতে ব্যবহার করেছেন একটি ‘শক্তিশালী যুক্তি’—জাতীয় দল। তিনি তাকে বোঝান, আল-নাসরে একসঙ্গে ৪০-৫০টি ম্যাচ খেললে তাদের মাঠের বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হবে, যা ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে পর্তুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজের দলে জায়গা পেতে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে।

ফেলিক্সও এই যুক্তি বুঝতে পারেন এবং জাতীয় দলের স্বপ্ন পূরণের আশায় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে সম্মত হন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গত মৌসুমে চেলসিতে উপযুক্ত সময় পাননি ফেলিক্স। এরপর অর্ধমৌসুম ধারে কাটান এসি মিলানে। কিন্তু এখনো নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি এই ২৫ বছর বয়সী অ্যাটাকিং ফরোয়ার্ড।

এবার আল-নাসরে প্রাথমিক ২৬ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফিতে চুক্তি করতে চলেছেন তিনি। চুক্তির মেয়াদ হবে দুই বছর, যেখানে ফেলিক্স পাবেন বার্ষিক ১০ মিলিয়ন ইউরো।

ফেলিক্স একসময় ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফরোয়ার্ডদের একজন। কিন্তু অ্যাতলেটিকোতে কঠিন সময়ে পড়ে যান, চেলসিতে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন, আর মিলানে ছিলেন অনেকটাই ছায়ামানব।

এবার রোনালদোর মতো একজন কিংবদন্তির সঙ্গে নিয়মিত খেলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে চান। একই সঙ্গে পর্তুগাল দলে নিজের জায়গা পাকা করার লক্ষ্যও রয়েছে তার। সৌদি প্রো-লিগ এখন শুধু অর্থের লিগ নয়, অনেক বড় নামের মঞ্চে পরিণত হচ্ছে, যেখানে রোনালদোর উপস্থিতি ফেলিক্সের জন্য হতে পারে আশীর্বাদ।

আল-নাসরের সঙ্গে ফেলিক্সের আনুষ্ঠানিক চুক্তি খুব শিগগির সম্পন্ন হবে। এরপরই তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন অস্ট্রিয়ায় প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে।

এক সময় যিনি ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে দামি তরুণ তারকা, সেই ফেলিক্স এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চান সৌদি প্রো-লিগে। আর সেই পথে সবচেয়ে বড় ভরসার নাম—ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে হলে, হয়তো এই সিদ্ধান্তই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো এক অধ্যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রোনালদোর কারণেই আল-নাসরে যাচ্ছেন ফেলিক্স!

আপডেট সময় : ০৬:১৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বিশ্ব ফুটবলে একের পর এক বড় নাম যখন সৌদি প্রো-লিগে নাম লেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই নতুন করে আলোচনায় এলেন পর্তুগিজ তরুণ তারকা জোয়াও ফেলিক্স। সাবেক অ্যাতলেটিকো ও চেলসি ফরোয়ার্ড এবার যাচ্ছেন আল-নাসরে, আর তাকে সেখানে নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সৌদি প্রো-লিগের সবচেয়ে বড় নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিজেই!

ফ্রেঞ্চ ফুটবল সাইট Foot Mercato জানিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী রোনালদো নাকি ফেলিক্সকে রাজি করাতে ব্যবহার করেছেন একটি ‘শক্তিশালী যুক্তি’—জাতীয় দল। তিনি তাকে বোঝান, আল-নাসরে একসঙ্গে ৪০-৫০টি ম্যাচ খেললে তাদের মাঠের বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হবে, যা ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে পর্তুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজের দলে জায়গা পেতে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে।

ফেলিক্সও এই যুক্তি বুঝতে পারেন এবং জাতীয় দলের স্বপ্ন পূরণের আশায় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে সম্মত হন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গত মৌসুমে চেলসিতে উপযুক্ত সময় পাননি ফেলিক্স। এরপর অর্ধমৌসুম ধারে কাটান এসি মিলানে। কিন্তু এখনো নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি এই ২৫ বছর বয়সী অ্যাটাকিং ফরোয়ার্ড।

এবার আল-নাসরে প্রাথমিক ২৬ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফিতে চুক্তি করতে চলেছেন তিনি। চুক্তির মেয়াদ হবে দুই বছর, যেখানে ফেলিক্স পাবেন বার্ষিক ১০ মিলিয়ন ইউরো।

ফেলিক্স একসময় ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফরোয়ার্ডদের একজন। কিন্তু অ্যাতলেটিকোতে কঠিন সময়ে পড়ে যান, চেলসিতে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন, আর মিলানে ছিলেন অনেকটাই ছায়ামানব।

এবার রোনালদোর মতো একজন কিংবদন্তির সঙ্গে নিয়মিত খেলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে চান। একই সঙ্গে পর্তুগাল দলে নিজের জায়গা পাকা করার লক্ষ্যও রয়েছে তার। সৌদি প্রো-লিগ এখন শুধু অর্থের লিগ নয়, অনেক বড় নামের মঞ্চে পরিণত হচ্ছে, যেখানে রোনালদোর উপস্থিতি ফেলিক্সের জন্য হতে পারে আশীর্বাদ।

আল-নাসরের সঙ্গে ফেলিক্সের আনুষ্ঠানিক চুক্তি খুব শিগগির সম্পন্ন হবে। এরপরই তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন অস্ট্রিয়ায় প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে।

এক সময় যিনি ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে দামি তরুণ তারকা, সেই ফেলিক্স এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চান সৌদি প্রো-লিগে। আর সেই পথে সবচেয়ে বড় ভরসার নাম—ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে হলে, হয়তো এই সিদ্ধান্তই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো এক অধ্যায়।