ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি ডুবতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে সেতুটির একপাশ দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। বেলা গড়াতে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে এক থেকে দুই ইঞ্চি পানিতে ডুকতে দেখা গেছে।

সদর উপজেলার পর্যটন এলাকায় পর্যটন করপোরেশন ১৯৮৬ সালে নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে জলপথে ও স্থলপথে যে কোনো মাধ্যমে সহজে যাওয়া যায়। বর্তমানে সেতুটি ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।

১৯৮৬ সালে স্থাপনের পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৪-১০৫ এমএসএল হলে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন করপেরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি।

কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল ১০৫ দশমিক ৬৯ এমএসএল। হ্রদের পানি ১০৮ দশমিক ৫ এমএসএল এর কাছাকাছি আসলে জলকপাট দিয়ে হ্রদে পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলো বিকাশ চাকমা জানান, ঝুলন্ত সেতুতে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় আছে। সেতুতে পুরোপুরি পাবি প্রবেশ করলে আমরা কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দর্শনার্থী চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেব। তবে এখনো পুরোপুরি পানি প্রবেশ না করাই দর্শনার্থী প্রবেশে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি ডুবতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে সেতুটির একপাশ দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। বেলা গড়াতে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে এক থেকে দুই ইঞ্চি পানিতে ডুকতে দেখা গেছে।

সদর উপজেলার পর্যটন এলাকায় পর্যটন করপোরেশন ১৯৮৬ সালে নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে জলপথে ও স্থলপথে যে কোনো মাধ্যমে সহজে যাওয়া যায়। বর্তমানে সেতুটি ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।

১৯৮৬ সালে স্থাপনের পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৪-১০৫ এমএসএল হলে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন করপেরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি।

কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল ১০৫ দশমিক ৬৯ এমএসএল। হ্রদের পানি ১০৮ দশমিক ৫ এমএসএল এর কাছাকাছি আসলে জলকপাট দিয়ে হ্রদে পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলো বিকাশ চাকমা জানান, ঝুলন্ত সেতুতে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় আছে। সেতুতে পুরোপুরি পাবি প্রবেশ করলে আমরা কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দর্শনার্থী চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেব। তবে এখনো পুরোপুরি পানি প্রবেশ না করাই দর্শনার্থী প্রবেশে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।