ময়লা ছিটিয়ে ছিনতাই, আড়াই বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০৯:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ নগরীর ছোট বাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অভিনব কায়দায় চার লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আড়াই বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)। গ্রেপ্তার মো. হান্নান (৬২) ঢাকার চকবাজার এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
এরইমধ্যে চুরির দায় স্বীকার করে বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি ময়মনসিংহের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে তাকে ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার রাতে পিবিআইয়ের ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। পিবিআই সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর ময়মনসিংহ নগরের ছোট বাজার এলাকার পূবালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ব্যবসায়ী শামছুল আলম জনতা ব্যাংকে লেনদেন শেষে লিমা প্রিন্টিং প্রেসের সামনে আসেন। সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার কাপড়ে ময়লা ছিটিয়ে দিয়ে ‘ময়লাটা কোথা থেকে লাগল’ বলে বিভ্রান্ত করেন।
জামাকাপড় পরিষ্কারের সময় পাশেই রাখা টাকার ব্যাগটি নিয়ে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন’ দাখিল করে। পরে আদালতের নির্দেশে পিবিআই ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শামছুল আলম বলেন, ২০২২ সালে ৯ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে ছোট বাজার এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৯ লাখ টাকা তোলেন তিনি। পরে পাঁচ লাখ টাকা অন্য একটি ব্যাংকে জমা দেন। বাকি চার লাখ টাকা নিয়ে একটি ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় একদল ছিনতাইকারী তার পাঞ্জাবিতে ময়লা ছুড়ে মারে। তখন কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পড়লে ওই সুযোগে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, আড়াই বছর পর ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় আমরা হান্নানকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করি। হান্নান আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন জেলায় একই কৌশলে মানুষের শরীরে ময়লা ছিটিয়ে টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাটি জনাকীর্ণ এলাকায় হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজে প্রকৃত চোর শনাক্ত করা কঠিন ছিল।