ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

জুমার দিন স্ত্রীর রান্নার প্রশংসা করে সুন্নত আদায়ের সুযোগ

চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ শুক্রবার। সাপ্তাহিক ঈদের দিন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন বানিয়েছেন’ (ইবনে মাজা : ৯০৮)। কাজেই জুমাবার আমাদের জন্য আনন্দের দিন। পারস্পরিক মিলনোৎসবের দিন।

সাধারণত সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে কর্মব্যস্ততার কারণে কর্মজীবীরা স্ত্রী-সন্তানকে খুব একটা সময় দিতে পারেন না। কিন্তু শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সেই ব্যস্ততা কিংবা চাপ থাকে না। তাই দিনটিতে সবাই পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটান। আনন্দ-উল্লাস করেন। ঘোরাঘুরি এবং ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করেন। তবে জানেন কি, জুমাবারের এই ছুটির মুহূর্তে স্ত্রীর রান্নার প্রশংসা করে, তার প্রতি অধিক ভালোবাসার কথা জানিয়ে আপনিও অধিক সওয়াব লাভ করতে পারেন! নবীজির সুন্নাহ আদায় করতে পারেন।

কারণ ইসলামে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো সুন্নাহ। রাহমাতুল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তার জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে দেখা যায়, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা বারবার প্রকাশ করেছেন। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত। হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন।

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন’ (সহিহ বুখারি : ৫২২৯)।

এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর (সহিহ বুখারি : ৩৪১১)।

এই হাদিসে নবীজি (সা.) কেবল আয়শা (রা.)-এর রূপের প্রশংসা করেননি, বরং তিনি তাঁর সাংসারিক কাজকর্ম, আচার-আচরণসহ দাম্পত্য জীবনের সবদিকই তুলে ধরেছেন। তাই শুক্রবার কর্মব্যস্তহীন দিনে আপনার স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করে, তার রান্নার প্রশংসা করে আপনিও সুন্নাহ আদায় করতে পারেন। রবের নৈকট্য লাভ করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জুমার দিন স্ত্রীর রান্নার প্রশংসা করে সুন্নত আদায়ের সুযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

আজ শুক্রবার। সাপ্তাহিক ঈদের দিন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন বানিয়েছেন’ (ইবনে মাজা : ৯০৮)। কাজেই জুমাবার আমাদের জন্য আনন্দের দিন। পারস্পরিক মিলনোৎসবের দিন।

সাধারণত সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে কর্মব্যস্ততার কারণে কর্মজীবীরা স্ত্রী-সন্তানকে খুব একটা সময় দিতে পারেন না। কিন্তু শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সেই ব্যস্ততা কিংবা চাপ থাকে না। তাই দিনটিতে সবাই পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটান। আনন্দ-উল্লাস করেন। ঘোরাঘুরি এবং ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করেন। তবে জানেন কি, জুমাবারের এই ছুটির মুহূর্তে স্ত্রীর রান্নার প্রশংসা করে, তার প্রতি অধিক ভালোবাসার কথা জানিয়ে আপনিও অধিক সওয়াব লাভ করতে পারেন! নবীজির সুন্নাহ আদায় করতে পারেন।

কারণ ইসলামে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো সুন্নাহ। রাহমাতুল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তার জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে দেখা যায়, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা বারবার প্রকাশ করেছেন। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত। হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন।

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন’ (সহিহ বুখারি : ৫২২৯)।

এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর (সহিহ বুখারি : ৩৪১১)।

এই হাদিসে নবীজি (সা.) কেবল আয়শা (রা.)-এর রূপের প্রশংসা করেননি, বরং তিনি তাঁর সাংসারিক কাজকর্ম, আচার-আচরণসহ দাম্পত্য জীবনের সবদিকই তুলে ধরেছেন। তাই শুক্রবার কর্মব্যস্তহীন দিনে আপনার স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করে, তার রান্নার প্রশংসা করে আপনিও সুন্নাহ আদায় করতে পারেন। রবের নৈকট্য লাভ করতে পারেন।