ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) চালানো ওই হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এটি রাজধানীতে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ছিল। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ৩১ জনের মরদেহ এবং ১৫৯ জনেরও বেশি মানুষকে আহত অবস্হায় পাওয়া গেছে।
শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো বলেছেন, ১ আগস্ট সকাল পর্যন্ত রাশিয়ার হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকালে উদ্ধারকারীরা আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে।
‘রাতভর অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত ছিল এবং এখনো চলছে। স্বিয়াতোশিনস্কি জেলায় নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার চলছে,’ বলেন তাকাচেঙ্কো।
নিহতদের মধ্যে সিনিয়র পুলিশ লেফটেন্যান্ট লিলিয়া স্টেপানচুকও ছিলেন, যিনি ২০১৭ সাল থেকে কিয়েভের পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। উদ্ধার অভিযানের সময় স্বিয়াতোশিনস্কি জেলার ধ্বংসস্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত পাঁচজন শিশুসহ ত্রিশজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলার ঘটনাস্থলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াকারীরা কাজ করছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ১২ জন শিশু রয়েছে।
ক্লিটসকো আরও বলেন, পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে আহত শিশুদের সংখ্যা শহরে সর্বোচ্চ। রাজধানীতে সবচেয়ে মারাত্মক হামলাটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঘটেছিল যেখানে ৩৩ জন নিহত হয়েছিল।
রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভ এবং অন্য অঞ্চল লক্ষ্য করে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি জানান।
হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ১ আগস্ট কিয়েভে শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। সমস্ত পৌর ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। শহরে সব বিনোদন অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার উপর ১০ দিনের মধ্যে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পরপরই এই হামলা চালানো হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ লুৎফর রহমান হীরা
ঢাকা অফিস: ১/জি,আদর্শ ছায়ানীড়,রিংরোড,শ্যামলী,আদাবর ঢাকা-১২০৭।
©2025 l চলনবিলের সময়