ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

চলনবিলে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান

চাটমোহর উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলনবিল অঞ্চলে বর্ষার পানি প্রবেশের সাথে সাথে একটি অসাধু চক্র নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির পোনা ও ছোট মাছ নির্বিচারে শিকার করছে। এসব শিকার কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী, যারা জেলেদের দাদনের মাধ্যমে এসব জাল সরবরাহ করে সারা বছর লাভবান হচ্ছে।

ফলে একদিকে বিল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত জেলে ও মৎস্যনির্ভর পরিবারগুলো। ধ্বংস হচ্ছে চলনবিলের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য।

এই অবস্থার পরিবর্তনে এবং দেশীয় মাছ সংরক্ষণে চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর এবছর বর্ষার শুরু থেকেই নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। প্রতিটি অভিযানে অবৈধভাবে ব্যবহৃত চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। এছাড়াও এসব জালে আটকে পড়া ছোট মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বিল ও জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়।

এই অভিযানেরই অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন নলুয়া বিল, নলডাঙ্গা বিল, নবীন ও চর নবীন বিল এবং ছাইকোলা ইউনিয়নের জিয়ালগাড়ী জোলা বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। অভিযানে সঙ্গে ছিলেন চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর সুদেব কুমার সিংহ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযান চলাকালীন সময়ে প্রায় ১৩০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল, যার বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকা (৪০০০ × ১৩০), জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

চাটমোহরে এ ধরনের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য পরিবেশবান্ধব নাগরিক, মৎস্যপ্রেমী ও সচেতন মহল উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি চায়না দুয়ারী জালের উৎপাদন ও বিক্রয় স্থায়ীভাবে বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চলনবিলে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান

আপডেট সময় : ১০:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

চলনবিল অঞ্চলে বর্ষার পানি প্রবেশের সাথে সাথে একটি অসাধু চক্র নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির পোনা ও ছোট মাছ নির্বিচারে শিকার করছে। এসব শিকার কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী, যারা জেলেদের দাদনের মাধ্যমে এসব জাল সরবরাহ করে সারা বছর লাভবান হচ্ছে।

ফলে একদিকে বিল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত জেলে ও মৎস্যনির্ভর পরিবারগুলো। ধ্বংস হচ্ছে চলনবিলের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য।

এই অবস্থার পরিবর্তনে এবং দেশীয় মাছ সংরক্ষণে চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর এবছর বর্ষার শুরু থেকেই নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। প্রতিটি অভিযানে অবৈধভাবে ব্যবহৃত চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। এছাড়াও এসব জালে আটকে পড়া ছোট মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বিল ও জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়।

এই অভিযানেরই অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন নলুয়া বিল, নলডাঙ্গা বিল, নবীন ও চর নবীন বিল এবং ছাইকোলা ইউনিয়নের জিয়ালগাড়ী জোলা বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। অভিযানে সঙ্গে ছিলেন চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর সুদেব কুমার সিংহ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযান চলাকালীন সময়ে প্রায় ১৩০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল, যার বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকা (৪০০০ × ১৩০), জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

চাটমোহরে এ ধরনের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য পরিবেশবান্ধব নাগরিক, মৎস্যপ্রেমী ও সচেতন মহল উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি চায়না দুয়ারী জালের উৎপাদন ও বিক্রয় স্থায়ীভাবে বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।