উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রাস্তা যেন হয় না বাধা

- আপডেট সময় : ০৪:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

পাবনার চাটমোহরের জারদিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল-বাঘলবাড়ি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের করুণ দুরবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। সেই ক্ষোভ এবার মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এই জনপথ যেন শুধু মাটির নয়, মানুষের দীর্ঘশ্বাসের প্রতিচ্ছবি।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অথচ এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এটি শুধু স্থানীয় জনসাধারণের জীবনযাত্রার সাথে নয়, বরং অর্থনৈতিক, চিকিৎসা ও শিক্ষা কার্যক্রমের সাথেও সরাসরি জড়িত।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অতীতে একাধিকবার বরাদ্দ এলেও, কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পিছু হটে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর দায় কে নেবে? স্থানীয় প্রশাসন কি একবারও প্রশ্ন তুলেছে ঠিকাদারের দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে? বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থ কোথায় গেল – সেটিও এক অনুসন্ধানযোগ্য প্রশ্ন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন তা প্রশংসনীয়। এটি প্রমাণ করে, জনগণ এখন তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি সচেতন।
আমরা চাই, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এই দাবি কেবল ‘শুনলেন’ বলেই দায়মুক্ত না হন – বরং এটি যেন হয় তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের উদ্যোগ।
সংস্কার না হলে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি দুর্ঘটনার হারও বাড়বে, বাড়বে জনঅসন্তোষ। উন্নয়নের অঙ্গীকার যদি মাঠ পর্যায়ে এসে ভেঙে পড়ে, তাহলে সেটি কেবল কাগুজে উন্নয়নই থেকে যাবে।
এক মাসের আল্টিমেটাম যে দেওয়া হয়েছে, সেটি সরকার ও সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের জন্য একটি সতর্ক সংকেত। এই সময়ের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি শুধু হান্ডিয়াল নয়, চলনবিলজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আমরা ‘চলনবিলের সময়’ পরিবার থেকে জোরালোভাবে দাবি জানাই –
🔹 সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করুন
🔹 প্রকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে কার্যকর তদারকি করুন
🔹 কাজ শুরু ও সমাপ্তির সময়সীমা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন
আমরা এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি, কারণ এটি কোনো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থ নয় – এটি একান্তই জনস্বার্থ।
চলনবিলের উন্নয়নে রাস্তা হোক অগ্রগতির পথ, বাধা নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক
চলনবিলের সময়
০২-০৮-২৫ইং