ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার অবস্থা জানতে হাসপাতালে যান তার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ সাগর হোসেন।

রোববার (৩ আগস্ট) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ।

সাগর হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।’

এ সময় রাষ্ট্রপতি টেলিফোনে জামায়াত আমিরের ছোট ভাই ফখরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

এরপর আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের চিকিৎসার খোঁজ নেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান শফিকুর রহমানের ছোট ভাই।

এদিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ৮ জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরে তা গেজেটে প্রকাশিত হয়।

যাদের নাম বাদ দেওয়া হলো-

টাঙ্গাইলের মো. খলিলুর রহমান তালুকদার (গেজেট নম্বর ২২৯), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪), নরসিংদীর জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), ঢাকার দৌলতখানের শাহ জামান (গেজেট নম্বর ৬১১), সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬), নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), পটুয়াখালীর বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) এবং শরীয়তপুরের বাঁধনের (গেজেট নম্বর ৮৩৬) জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে কেন তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিহতের পরিবার ও স্বজনরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিহতদের জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় এটা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, এই আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এর আগে ২ দফায় গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। শহীদদের নামের সঙ্গে গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, মা-বাবার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জেলা ও বিভাগ প্রকাশ করা হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং তাদের পুনর্বাসনে কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ১১:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার অবস্থা জানতে হাসপাতালে যান তার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ সাগর হোসেন।

রোববার (৩ আগস্ট) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ।

সাগর হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।’

এ সময় রাষ্ট্রপতি টেলিফোনে জামায়াত আমিরের ছোট ভাই ফখরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

এরপর আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের চিকিৎসার খোঁজ নেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান শফিকুর রহমানের ছোট ভাই।

এদিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ৮ জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরে তা গেজেটে প্রকাশিত হয়।

যাদের নাম বাদ দেওয়া হলো-

টাঙ্গাইলের মো. খলিলুর রহমান তালুকদার (গেজেট নম্বর ২২৯), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪), নরসিংদীর জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), ঢাকার দৌলতখানের শাহ জামান (গেজেট নম্বর ৬১১), সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬), নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), পটুয়াখালীর বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) এবং শরীয়তপুরের বাঁধনের (গেজেট নম্বর ৮৩৬) জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে কেন তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিহতের পরিবার ও স্বজনরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিহতদের জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় এটা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, এই আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এর আগে ২ দফায় গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। শহীদদের নামের সঙ্গে গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, মা-বাবার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জেলা ও বিভাগ প্রকাশ করা হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং তাদের পুনর্বাসনে কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।