ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ৭৮ বছর বয়সেও জোটেনি আনোয়ারার বয়স্ক ভাতার কার্ড Logo প্রকাশ্যে তুলে নেওয়ার ঘণ্টাখানেক পর লাশ ফেলে গেল সন্ত্রাসীরা Logo কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে মারা গেল ১১টি মহিষ, ভাসিয়ে দেওয়া হলো পদ্মায় Logo তোপের মুখে শেখ মুজিবের ছবি নামালেন সেই প্রধান শিক্ষিকা Logo স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর, সালিশে হামলায় নিহত বাবা Logo নাটোর চিনিকলের প্রহরীদের বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo ‘জাতিসংঘের বেশিরভাগ রিপোর্ট কেউ পড়ে না’—স্বীকারোক্তি সংস্থাটিরই Logo বাসে নড়ে উঠল লাগেজ, খুলতেই মিলল ২ বছরের শিশু Logo ‘নতুন বাংলাদেশে’ র‌্যাব বিলুপ্ত করবে এনসিপি Logo অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

৭৮ বছর বয়সেও জোটেনি আনোয়ারার বয়স্ক ভাতার কার্ড

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র বাড়ির ভিটা। সেটাও বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা গেছে। এরপর থেকে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা।

বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার পক্ষে কষ্টকর। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৪৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার মৃত আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা। প্রায় ৪২ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছে। রেখে যায় শুধু বাড়ির ভিটা ও একটি কন্যা সন্তান। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায় আনোয়ারা। এরপর বাড়ির ভিটা বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকায়।

মেয়ের বিয়ের পর বিধবা আনোয়ারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। মেয়ের জামাই অন্যত্র বিয়ে করায় আনোয়ারা একা হয় পড়ে। এরপর থেকে আনোয়ারা অন্যের বাসা-বাড়িতে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন সে আর তেমন কাজ করতে পারবে না। প্রতিবেশীরা যা খাবার দেয়, তা খেয়েই কোন রকম দিনপাত করছে।

বৃদ্ধা আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো। তবে আশার কথা শুনালেন

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক কালবেলাকে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সঙ্গে মোবাইল নম্বর না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৭৮ বছর বয়সেও জোটেনি আনোয়ারার বয়স্ক ভাতার কার্ড

আপডেট সময় : ১২:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র বাড়ির ভিটা। সেটাও বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা গেছে। এরপর থেকে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা।

বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার পক্ষে কষ্টকর। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৪৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার মৃত আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা। প্রায় ৪২ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছে। রেখে যায় শুধু বাড়ির ভিটা ও একটি কন্যা সন্তান। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায় আনোয়ারা। এরপর বাড়ির ভিটা বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকায়।

মেয়ের বিয়ের পর বিধবা আনোয়ারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। মেয়ের জামাই অন্যত্র বিয়ে করায় আনোয়ারা একা হয় পড়ে। এরপর থেকে আনোয়ারা অন্যের বাসা-বাড়িতে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন সে আর তেমন কাজ করতে পারবে না। প্রতিবেশীরা যা খাবার দেয়, তা খেয়েই কোন রকম দিনপাত করছে।

বৃদ্ধা আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো। তবে আশার কথা শুনালেন

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক কালবেলাকে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সঙ্গে মোবাইল নম্বর না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।