
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।
এর আগে, গত রোববার আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষকরা ওই দাবি না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ। উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) প্রদান করা হলো :
শর্তসমূহ :
ক. উক্ত বাড়ি ভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে;
খ. ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১’, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে;
গ. বর্ণিত ভাতাদি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না;
ঘ. ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে;
ঙ. এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন;
চ. প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জি.ও জারি করে জি.ও-এর ৪ (চার) কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের জন্য প্রেরণ করতে হবে।
এ আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।