কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

: চলনবিলের সময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ দিন আগে

31

সিরাজগঞ্জের বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের চৌকষ অভিযানিক দল। র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিক-নির্দেশনায় গত ২২ অক্টোবর ভোর সাড়ে চারটের দিকে র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি এবং র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামী সিরাজগঞ্জ জেলার চর কামারখন্দ থানার রহমত আলী ছেলে নাইম হোসেন (২০)।

র‌্যাব জানায়, উল্লিখিত মামলার এজাহারের বর্ণনা মতে, ভিকটিম খাদিজা আক্তার (১৪) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ৭ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী। গত ১৯ অক্টোবর সকাল ১০ টায় ভিকটিম খাদিজা আক্তার (১৪) কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসায় যায়। একই তারিখ ৪টায় মাদ্রাসা ছুটি হলেও ভিকটিম মোছাঃ খাদিজা আক্তার (১৪) বাড়িতে ফিরে না আসলে তার পরিবার কর্নসুতী দাখিল মাদ্রাসাসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়ী ও আশেপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন।

খোঁজাখুজি করার সময় একই তারিখ বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি ভিকটিমের পরিবারকে ফোন দিয়ে জানান যে, খাদিজা নামে একটি মেয়ে সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবার সন্ধ্যা ১৯.০০ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌছে ভিকটিম মোছাঃ খাদিজা আক্তার (১৪) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখতে পেয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে বারোটার দিকে ভিকটিম খাদিজা আক্তার (১৪) এর জ্ঞান ফিরলে সে জানায় যে, ১৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটার দিকে মাদ্রাসা হতে কলম কেনার জন্য সে কামারখন্দ থানাধীন কর্নসুতী গ্রামস্থ তালুকদারবাড়ী পারিবারিক কবরস্থানের পাশে দোকানের দিকে যাওয়ার সময় সিএনজি নিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামীগণ ভিকটিমের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে দ্রুত গতিতে জামতৈল রেলগেটের দিকে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে একই তারিখ সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে কামারখন্দ থানাধীন উপজেলা সেন্ট্রাল পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে নিয়ে রেস্টুরেন্টের পূর্ব সাইডে ডান পার্শ্বের কেবিনে বসার লম্বা সোফার উপর শোয়াইয়া মুখ চেপে ধরে মূল আসামী নাইম হোসেন ভিকটিম খাদিজা আক্তার (১৪) কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। ঐ সময় তার সহযোগী অন্যান্য আসামীগণ রেস্টুরেন্টের ভিতরের গেটে পাহারা দেয় এবং ভিকটিম খাদিজা আক্তারের কান্নাকাটি বাইরে থেকে কেউ যেন শুনতে না পারে সে জন্য জোরে জোরে উচ্চস্বরে ডেকসেটে গান বাজায়। প্রধান আসামী নাইম হোসেন এর দ্বারা ধর্ষণের ফলে ভিকটিমের যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তপাত হতে থাকে। রক্তপাত দেখে ভিকটিম রেস্টুরেন্ট এর ভিতরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রধান আসামী নাইম অন্যান্য সহযোগী আসামীদের সহায়তায় তাকে সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে ভর্তি করে রেখে পালিয়ে যায়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-০৯, তারিখ- ২০/১০/২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-০৩) এর ৭/৩০/৯(১)। উক্ত ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রধান আসামী নাইম হোসেন পলাতক ছিলেন।