চলনবিলে পানি দ্রুত কমেছে জমিতে সরিষা চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

: বিশেষ প্রতিনিধি | চলনবিলের সময়
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

48

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম জলাভূমি চলনবিলে বর্ষার পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। থেমে গেছে বর্ষার স্রোত, চারদিকে ধীরে ধীরে উঁকি দিচ্ছে চেনা মাঠ। আর এই সুযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকেরা—শুরু হয়েছে সরিষা চাষের প্রস্তুতি।

চলনবিল ঘিরে থাকা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, নাটোরের সিংড়া ও গুরুদাসপুর এবং পাবনার চাটমোহরসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন জমি প্রস্তুত, বীজ বপন ও আগাছা পরিষ্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে। কেউ চাষ দিচ্ছেন, কেউ আগাম জাতের সরিষা বুনছেন।

তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, “বর্ষার পানি নামতেই জমি শুকোতে শুরু করেছে। এখনই সরিষা বপনের সেরা সময়। আগাম জাতের সরিষা বুনলে ডিসেম্বরের শেষের দিকেই ফুল আসবে, জানুয়ারিতেই ফলন পাওয়া যাবে।”

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলনবিল এলাকায় এ মৌসুমে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার চাষের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, পানি সরে যাওয়ায় অনাবাদি অনেক জমিই এবার আবাদে আনা সম্ভব হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, “চলনবিল অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ তেলবীজ ফসলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমরা কৃষকদের উন্নত জাতের সরিষা চাষে উৎসাহিত করছি। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয়ভাবে তেলের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে।”

এদিকে মাঠজুড়ে এখন কৃষকের পদচারণায় মুখর পুরো চলনবিল। কোথাও চলছে জমি তৈরি, কোথাও বীজ বপন, আবার কোথাও আগাছা পরিষ্কার। কৃষকেরা আশাবাদী—আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার ফলন হবে বাম্পার।