দুই জেলায় সংঘর্ষে আহত ৪৫

: পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: 3 weeks ago

75

ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও পটুয়াখালীর গলাচিপায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে শুক্রবার বোয়ালমারীর ওয়াপদা মোড়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন। এ সময় মোটরসাইকেল-দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের সমর্থকদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।

জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বিবদমান দুই পক্ষ পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ নিয়ে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও একই কমিটির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ওয়াপদা মোড়ে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লা আল মাসুম জানান, হাসপাতালে ৮ জন আহত অবস্থায় আসেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। বিপ্লব ও সংহতি দিবসে এমন ঘটনা ঘটবে, তা বুঝতে পারিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ রকম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ধারণা ছিল না।

অন্যদিকে, গলাচিপায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা হাসান মামুনের সমর্থকরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাত ৯টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। তবে তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি কর্মী ইলিয়াস, সবুজ, নূরনবী, হাসান, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব, ওমর, রাহান ও সলেমান হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের আজমির খলিফা, মো. সোহেল খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগম, নাঈম খলিফা ও নবীন খলিফাও চিকিৎসা নিয়েছেন।

তবে ঘটনার পরই আহতদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান হাসান মামুন। সেখানে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। আমরাও প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। ৭ নভেম্বর আমাদের প্রোগ্রাম রয়েছে, সে কারণেই দলের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হচ্ছিলেন।

চরকাজল ইউনিয়ন যুব অধিকারের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সোহেল খলিফা বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের সভা শেষে ফিরছিলাম। বিএনপি কর্মীরা আমাদের ডাক দিয়ে হামলা শুরু করে। এরপর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

গলাচিপা থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি দুই পরিবারের বিরোধ, তবে তারা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।