ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

মাহে রমজান: আত্মশুদ্ধির মাস

পরিবর্তন টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রমজান হলো আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়ার মাস। ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম হলো রোজা, যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফরজ। এই মাস আত্মসংযম, দানশীলতা ও ইবাদতের মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধির এক অনন্য সুযোগ এনে দেয়।

রমজানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি জাগ্রত করা। রোজা শুধু না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি আত্মসংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চর্চা। এ সময় মানুষকে শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকলেই হবে না, বরং মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায় ও সকল খারাপ কাজ থেকেও দূরে থাকতে হবে।

রমজান আমাদের মনে করিয়ে দেয় ক্ষুধার্ত ও দুঃস্থ মানুষের কষ্টের কথা। তাই এই মাস দান-সদকা, জাকাত ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেয়।

এ মাসে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য সঠিক পথের দিশারি। তাই রমজানে কুরআন তিলাওয়াত, ইবাদত-বন্দেগি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

তবে দুঃখজনকভাবে, অনেক ক্ষেত্রে রমজানের মূল শিক্ষা ভুলে গিয়ে আমরা অপচয়, বাড়তি কেনাকাটা, অসৎ উপায়ে ব্যবসা করা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে এ মাসের পবিত্রতা নষ্ট করি। এ ধরনের অনৈতিক কাজ রমজানের শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি, সংযম, সহমর্মিতা ও সৎ জীবনযাপন। আসুন, আমরা এই মাসের শিক্ষা জীবনের সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করি এবং সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য স্থাপনের জন্য কাজ করি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মাহে রমজান: আত্মশুদ্ধির মাস

আপডেট সময় : ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

রমজান হলো আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়ার মাস। ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম হলো রোজা, যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফরজ। এই মাস আত্মসংযম, দানশীলতা ও ইবাদতের মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধির এক অনন্য সুযোগ এনে দেয়।

রমজানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি জাগ্রত করা। রোজা শুধু না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি আত্মসংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চর্চা। এ সময় মানুষকে শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকলেই হবে না, বরং মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায় ও সকল খারাপ কাজ থেকেও দূরে থাকতে হবে।

রমজান আমাদের মনে করিয়ে দেয় ক্ষুধার্ত ও দুঃস্থ মানুষের কষ্টের কথা। তাই এই মাস দান-সদকা, জাকাত ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেয়।

এ মাসে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য সঠিক পথের দিশারি। তাই রমজানে কুরআন তিলাওয়াত, ইবাদত-বন্দেগি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

তবে দুঃখজনকভাবে, অনেক ক্ষেত্রে রমজানের মূল শিক্ষা ভুলে গিয়ে আমরা অপচয়, বাড়তি কেনাকাটা, অসৎ উপায়ে ব্যবসা করা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে এ মাসের পবিত্রতা নষ্ট করি। এ ধরনের অনৈতিক কাজ রমজানের শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি, সংযম, সহমর্মিতা ও সৎ জীবনযাপন। আসুন, আমরা এই মাসের শিক্ষা জীবনের সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করি এবং সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য স্থাপনের জন্য কাজ করি।