ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

অবশেষে কবরস্থানের সভাপতি পদের সেই নির্বাচন স্থগিত

পরিবর্তন টিভি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার  বহুল আলোচিত জান্নাতুল বাকী কবরস্থানের সভাপতি পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে নির্বাচন  কমিশন প্রধান ও কবরস্থানটির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) তিন গ্রামের সমাজ নিয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থান কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক ও এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় আমরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছি। দুই-একদিনের মধ্যে গ্রামের প্রধানবর্গ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেব।

নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম  বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সেখানে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এই নির্বাচন ঘিরে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তারা নিজেরা যদি সবার সম্মতিতে একটা গ্রহণযোগ্য কমিটি দিতে পারে সেটাই ভালো হয়। তবে কেউ যদি এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রসঙ্গত, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) তিন গ্রামের সমাজ নিয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে সভাপতিসহ কমিটি গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। সভাপতি কে হবেন এ নিয়ে যুবদল-শ্রমিক দলের দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। এলাকাবাসী ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হোক এমন দাবি করলে ভোটের কার্যক্রম শুরু হয়।

যুবদল নেতা আব্দুল কুদ্দুস এবং শ্রমিক দল নেতা শরিফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমাদানপূর্বক ভোটের কার্যক্রম শুরু করেন। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই দুই প্রার্থী তাদের নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করতে থাকেন। বিষয়টি সারা দেশে ও মিডিয়া ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাও দেখা দেয়। এ নিয়ে মানুষের মনে সংশয়, উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অবশেষে কবরস্থানের সভাপতি পদের সেই নির্বাচন স্থগিত

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার  বহুল আলোচিত জান্নাতুল বাকী কবরস্থানের সভাপতি পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে নির্বাচন  কমিশন প্রধান ও কবরস্থানটির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) তিন গ্রামের সমাজ নিয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থান কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক ও এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় আমরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছি। দুই-একদিনের মধ্যে গ্রামের প্রধানবর্গ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেব।

নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম  বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সেখানে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এই নির্বাচন ঘিরে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তারা নিজেরা যদি সবার সম্মতিতে একটা গ্রহণযোগ্য কমিটি দিতে পারে সেটাই ভালো হয়। তবে কেউ যদি এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রসঙ্গত, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) তিন গ্রামের সমাজ নিয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে সভাপতিসহ কমিটি গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। সভাপতি কে হবেন এ নিয়ে যুবদল-শ্রমিক দলের দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। এলাকাবাসী ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হোক এমন দাবি করলে ভোটের কার্যক্রম শুরু হয়।

যুবদল নেতা আব্দুল কুদ্দুস এবং শ্রমিক দল নেতা শরিফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমাদানপূর্বক ভোটের কার্যক্রম শুরু করেন। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই দুই প্রার্থী তাদের নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করতে থাকেন। বিষয়টি সারা দেশে ও মিডিয়া ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাও দেখা দেয়। এ নিয়ে মানুষের মনে সংশয়, উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।