ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

নরসিংদী ডিসি কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী।

সোমবার (২৩ জুন) নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের পর বিচারক মো. আলী আহসান মাধবদী থানার ওসিকে মামলা নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন (৪২) নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ভেলানগর এলাকার মৃত ইলিয়াসের ছেলে।

মামলার বরাতে আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তার বাবার জন্য একটি হুইল চেয়ারের আবেদন করেন জেলা প্রশাসকের কাছে। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক দিন আলাপের পর একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ইকরামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে গেলে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি হুইল চেয়ারের জন্য আবেদন করি। সে আবেদন থেকে আমার নম্বর নিয়ে আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে এবং দ্রুত হুইল চেয়ার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বিয়ের জন্য বললে তিনি বিয়ে করবে বলে আমায় আশ্বস্ত করে এবং সময় চায়। এর মধ্যে আমাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কাজী অফিসের মাধ্যমে বিয়ে করবে বলে আমাকে গত ৯ মার্চ মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ইকরামের টাকা প্রয়োজন বলে আমার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নেয়। এ ছাড়া ঘটনার দিন আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে গেলে মেরামত করে দিবে বলে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয়নি। পরে পুনরায় তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি বিয়ে করবে না বলে জানায়। এ ছাড়া নেওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ফেরত দিবে না বলেও জানান ইকরাম।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী নাজির ইকরাম হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

মাধবদী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশটি এখনও থানায় আসেনি। আদেশ এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত ও ট্রেজারি শাখা) শিহাব সারার অভী বলেন, এ বিষয়টা উনার পারিবারিক ব্যাপার। তাছাড়া মামলা যেহেতু হয়েছে এটা এখন আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন। আমাদের কিছু বলার নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নরসিংদী ডিসি কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী।

সোমবার (২৩ জুন) নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের পর বিচারক মো. আলী আহসান মাধবদী থানার ওসিকে মামলা নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন (৪২) নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ভেলানগর এলাকার মৃত ইলিয়াসের ছেলে।

মামলার বরাতে আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তার বাবার জন্য একটি হুইল চেয়ারের আবেদন করেন জেলা প্রশাসকের কাছে। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক দিন আলাপের পর একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ইকরামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে গেলে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি হুইল চেয়ারের জন্য আবেদন করি। সে আবেদন থেকে আমার নম্বর নিয়ে আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে এবং দ্রুত হুইল চেয়ার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বিয়ের জন্য বললে তিনি বিয়ে করবে বলে আমায় আশ্বস্ত করে এবং সময় চায়। এর মধ্যে আমাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কাজী অফিসের মাধ্যমে বিয়ে করবে বলে আমাকে গত ৯ মার্চ মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ইকরামের টাকা প্রয়োজন বলে আমার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নেয়। এ ছাড়া ঘটনার দিন আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে গেলে মেরামত করে দিবে বলে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয়নি। পরে পুনরায় তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি বিয়ে করবে না বলে জানায়। এ ছাড়া নেওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ফেরত দিবে না বলেও জানান ইকরাম।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী নাজির ইকরাম হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

মাধবদী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশটি এখনও থানায় আসেনি। আদেশ এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত ও ট্রেজারি শাখা) শিহাব সারার অভী বলেন, এ বিষয়টা উনার পারিবারিক ব্যাপার। তাছাড়া মামলা যেহেতু হয়েছে এটা এখন আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন। আমাদের কিছু বলার নেই।