দায়মুক্ত হয়েছে জামায়াত : এটিএম আজহার

- আপডেট সময় : ১১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে

সদ্য কারামুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম তার রায়কে জামায়াতের দায়মুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আমি গর্বের সাথে বলতে চাই- আমার রায়ের মাধ্যমে এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পায়নি, এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিনের অপবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জামায়াতের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, যারা এই আইনের মাধ্যমে বিচারের নামে মানুষকে হত্যা করেছে এবং জামায়াতে ইসলামীকে অপবাদ দিয়েছে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে আমিও মুক্তি পেয়েছি, জামায়াতে ইসলামী মুক্তি পেয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে বিচারিক হত্যাকাণ্ডে যারা যেভাবে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।
জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়ে এটিএম আজহার বলেন, আমি যাদের সাথে রাজনীতি করেছি আফসোস তাদের হত্যা করা হয়েছে, তারা এখানে কেউ নেই। আমাদের দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী, পোস্ট সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ দুজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাহী সদস্য মীর কাসেম আলীকেও মিথ্যা মামলায় বিচারিক হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হতে হয়েছে। যাদের ফাঁসির রায় হয়েছিল কিন্তু কার্যকর করা হয়নি তাদেরও কারাগারে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে। পাঁচবারের নির্বাচিত এমপি মাওলানা আব্দুস সুবহান মানবতাবিরোধী অপরাধ করলে মানুষ তাকে ভোট দিত না, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো রেকর্ড নেই।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে জনসভা করল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ জনসভা, যেখানে জনস্রোতে পরিণত হয় দলীয় সমর্থকদের উপস্থিতি। জুলাই হত্যার বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার- এই পাঁচটি দাবিকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয় সমাবেশটির।
বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের মধ্যেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা আবেগ, উত্তাপ ও প্রত্যাশা যেন একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়- সেটিই দেখা যায় অংশগ্রহণকারীদের চেহারায়, কণ্ঠে ও স্লোগানে।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।