ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৯ Logo চাটমোহরের হান্ডিয়াল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম সবুর মিঞা আর নেই Logo বগুড়ায় “চলনবিলের সময়” পত্রিকার সাংবাদকর্মীদের মাঝে হাসিমুখে পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রদান Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন!
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

দিনে ৪৪২ জনের মৃত্যু রোধে সমাবেশ ও কফিন র‍্যালি

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তামাকজনিত মৃত্যু ও তামাকের ব্যবহার কমাতে এবং তামাকমুক্ত সুস্থ জাতি গঠনে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী ও শক্তিশালীকরণের দাবিতে সমাবেশ ও প্রতীকী কফিন র‍্যালি করেছে তামাক বিরোধী ১৭টি সংগঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে এমন দাবি জানায় তারা। সমাবেশ শেষে কফিন র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এ সময় বক্তারা জানান, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করে, পঙ্গুত্ববরণ করে বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ, পরোক্ষ ধূমপানে শিকার ৪২.৭ শতাংশ। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশিত গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একইসময়ে এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি) চেয়ে অনেক বেশি। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাক পণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে কোম্পানিগুলো। এ সময় আইন ভঙ্গ করা বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান বক্তারা।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত এবং ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু (১৫ বছরের নিচে) পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা রোগে ভুগছে। বক্তারা জানান এ আইনটি দ্রুত পাসের মাধ্যমে শক্তিশালী করা গেলে একদিকে অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পাবেন। অন্যদিকে আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের তামাক পণ্য ব্যবহারের সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। পক্ষান্তরে তামাকজনিত কারণে মৃত্যু রোধ করা সম্ভবপর হবে।

পাশাপাশি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের মাধ্যমে শক্তিশালী করে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট বা হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট থেকে তরুণদের রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানো হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, প্রত্যাশার হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের আবু নাসের অনিক, টিসিআরসির ফারহানা জামান লিজা, বিএনটিটিপি’র হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, তামাক বিরোধী নারী জোটের সিমা দাস শিমু, মানসের উম্মে জান্নাত, নারী মৈত্রীর নাসরিন আক্তার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ডা. অরুনা সরকার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের মিঠুন বৈদ্য এবং আহাছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং- এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা বক্তব্য দেন।

আয়োজক ১৭টি সংগঠন হলো ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্রজ্ঞা, ডরপ, নারী মৈত্রী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বিএনটিটিপি, বিসিসিপি, টিসিআরসি, ডাব্লিইউবিবি ট্রাষ্ট, নাটাব, এইড ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, প্রত্যাশা, পিপিআরসি, মানস, তাবিনাজ এবং বিটিসিএ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দিনে ৪৪২ জনের মৃত্যু রোধে সমাবেশ ও কফিন র‍্যালি

আপডেট সময় : ০৬:২১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

তামাকজনিত মৃত্যু ও তামাকের ব্যবহার কমাতে এবং তামাকমুক্ত সুস্থ জাতি গঠনে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী ও শক্তিশালীকরণের দাবিতে সমাবেশ ও প্রতীকী কফিন র‍্যালি করেছে তামাক বিরোধী ১৭টি সংগঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে এমন দাবি জানায় তারা। সমাবেশ শেষে কফিন র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এ সময় বক্তারা জানান, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করে, পঙ্গুত্ববরণ করে বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ, পরোক্ষ ধূমপানে শিকার ৪২.৭ শতাংশ। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশিত গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একইসময়ে এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি) চেয়ে অনেক বেশি। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাক পণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে কোম্পানিগুলো। এ সময় আইন ভঙ্গ করা বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান বক্তারা।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত এবং ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু (১৫ বছরের নিচে) পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা রোগে ভুগছে। বক্তারা জানান এ আইনটি দ্রুত পাসের মাধ্যমে শক্তিশালী করা গেলে একদিকে অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পাবেন। অন্যদিকে আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের তামাক পণ্য ব্যবহারের সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। পক্ষান্তরে তামাকজনিত কারণে মৃত্যু রোধ করা সম্ভবপর হবে।

পাশাপাশি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের মাধ্যমে শক্তিশালী করে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট বা হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট থেকে তরুণদের রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানো হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, প্রত্যাশার হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের আবু নাসের অনিক, টিসিআরসির ফারহানা জামান লিজা, বিএনটিটিপি’র হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, তামাক বিরোধী নারী জোটের সিমা দাস শিমু, মানসের উম্মে জান্নাত, নারী মৈত্রীর নাসরিন আক্তার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ডা. অরুনা সরকার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের মিঠুন বৈদ্য এবং আহাছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং- এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা বক্তব্য দেন।

আয়োজক ১৭টি সংগঠন হলো ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্রজ্ঞা, ডরপ, নারী মৈত্রী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বিএনটিটিপি, বিসিসিপি, টিসিআরসি, ডাব্লিইউবিবি ট্রাষ্ট, নাটাব, এইড ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, প্রত্যাশা, পিপিআরসি, মানস, তাবিনাজ এবং বিটিসিএ।