ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

ভারি বর্ষণে যমুনায় বাড়ছে পানি

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইলে ভারি বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার। এতে বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কিছু কিছু স্থানে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ভারি বর্ষণে জেলার সদর উপজেলাসহ নাগরপুর, ভুয়াপুর, গোপালপুর, বাসাইল ও মির্জাপুরের নিম্ন অঞ্চলের মানুষ ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পড়েছে বিপাকে।

সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড়ে বসবাস আব্দুল মালেক বলেন, একদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। অপরদিকে আকাশ থেকে অঝোরে বৃষ্টির পানি পড়ছে। কোথাও বের হতে পারছি না। খেটে খাওয়া মানুষ আমরা। প্রতিনিয়ত কাজ না করলে সংসারের খরচ জোগাড় করা কষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় বর্তমানে কষ্টে দিন পার করছি।

ময়মনসিংহ থেকে আসা শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, দুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি থাকায় কোনো কাজ পাচ্ছি না। বৃষ্টি না থাকলে প্রতিদিন সাড়ে ছয়শ টাকায় রোজ কাজ করতাম।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শামীম মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। বৃষ্টির জন্য লোকজন বের হচ্ছে না। বৃষ্টি থাকায় সারাদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হচ্ছে। আর বৃষ্টি না থাকলে গাড়ি চালিয়ে এক হাজার টাকা আয় হয়। অটোরিকশা চালিয়ে আমার সংসার চলে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান কালবেলাকে বলেন, জেলায় সব নদ-নদীর পানি প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যমুনাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, আপাতত বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পানি আরও বাড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভারি বর্ষণে যমুনায় বাড়ছে পানি

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

টাঙ্গাইলে ভারি বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার। এতে বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কিছু কিছু স্থানে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ভারি বর্ষণে জেলার সদর উপজেলাসহ নাগরপুর, ভুয়াপুর, গোপালপুর, বাসাইল ও মির্জাপুরের নিম্ন অঞ্চলের মানুষ ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পড়েছে বিপাকে।

সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড়ে বসবাস আব্দুল মালেক বলেন, একদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। অপরদিকে আকাশ থেকে অঝোরে বৃষ্টির পানি পড়ছে। কোথাও বের হতে পারছি না। খেটে খাওয়া মানুষ আমরা। প্রতিনিয়ত কাজ না করলে সংসারের খরচ জোগাড় করা কষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় বর্তমানে কষ্টে দিন পার করছি।

ময়মনসিংহ থেকে আসা শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, দুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি থাকায় কোনো কাজ পাচ্ছি না। বৃষ্টি না থাকলে প্রতিদিন সাড়ে ছয়শ টাকায় রোজ কাজ করতাম।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শামীম মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। বৃষ্টির জন্য লোকজন বের হচ্ছে না। বৃষ্টি থাকায় সারাদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হচ্ছে। আর বৃষ্টি না থাকলে গাড়ি চালিয়ে এক হাজার টাকা আয় হয়। অটোরিকশা চালিয়ে আমার সংসার চলে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান কালবেলাকে বলেন, জেলায় সব নদ-নদীর পানি প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যমুনাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, আপাতত বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পানি আরও বাড়তে পারে।