ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

এই কি আমাদের সমাজব্যবস্থা? রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা

চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া কয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। একদিকে শুধুমাত্র চা দিতে দেরি হওয়ায় হোটেল কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, অন্যদিকে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা হয়, যা ঘটেছে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই। এরই মধ্যে আরেক চিত্র উঠে এসেছে—চাঁদাবাজি ও অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতারের পর, দলীয় পরিচয়ে পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা বা ঘেরাও করা হচ্ছে।

এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কোনো অপরাধ নয়, বরং এটি এক গভীর ও পচনধরা নৈতিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি। যেখানে সামান্য রাগ বা বিরোধেই মানুষের প্রাণ হরণ স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, সেখানে আমাদের সমাজের নিরাপত্তা, সহনশীলতা ও বিচারব্যবস্থা কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এখন প্রশ্ন—আমরা কোথায় যাচ্ছি?

রাষ্ট্র যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়, প্রশাসন যদি মৌন দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি অপরাধীদের রক্ষা করতে সচেষ্ট হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি যতদিন থাকবে, ততদিন এই সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও অনাচার বন্ধ হবে না।

এখনই সময়, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র—তিনটি স্তরেই কঠোর আত্মবিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের। আইনের চোখে সবাই সমান—এই বার্তা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও প্রতিফলিত হতে হবে। নয়তো এই সহিংসতা একদিন আমাদেরই গিলে খাবে।

সম্পাদক –

চলনবিলের সময়

১৩-৭-২৫

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এই কি আমাদের সমাজব্যবস্থা? রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ১১:১৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া কয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। একদিকে শুধুমাত্র চা দিতে দেরি হওয়ায় হোটেল কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, অন্যদিকে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা হয়, যা ঘটেছে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই। এরই মধ্যে আরেক চিত্র উঠে এসেছে—চাঁদাবাজি ও অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতারের পর, দলীয় পরিচয়ে পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা বা ঘেরাও করা হচ্ছে।

এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কোনো অপরাধ নয়, বরং এটি এক গভীর ও পচনধরা নৈতিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি। যেখানে সামান্য রাগ বা বিরোধেই মানুষের প্রাণ হরণ স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, সেখানে আমাদের সমাজের নিরাপত্তা, সহনশীলতা ও বিচারব্যবস্থা কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এখন প্রশ্ন—আমরা কোথায় যাচ্ছি?

রাষ্ট্র যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়, প্রশাসন যদি মৌন দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি অপরাধীদের রক্ষা করতে সচেষ্ট হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি যতদিন থাকবে, ততদিন এই সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও অনাচার বন্ধ হবে না।

এখনই সময়, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র—তিনটি স্তরেই কঠোর আত্মবিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের। আইনের চোখে সবাই সমান—এই বার্তা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও প্রতিফলিত হতে হবে। নয়তো এই সহিংসতা একদিন আমাদেরই গিলে খাবে।

সম্পাদক –

চলনবিলের সময়

১৩-৭-২৫