ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মেধাভিত্তিক দেশ গঠনে শিক্ষা অপরিহার্য: ব্যারিস্টার অসীম Logo রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা Logo জুলাই যোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা Logo ৮ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন শিক্ষার্থীরা Logo বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের অভিযানে ১২ টি মামলা ও ২৯ হাজার টাকা জরিমানা Logo পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ শ বাড়ীঘর ও ফসলী জমি Logo ৭ম জন্মদিনে স্বপ্নকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের উষ্ণ অভিনন্দন! Logo টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাক ব্যাটাররা, মামুলি লক্ষ্য বাংলাদেশের Logo মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় নোবেলের মারামারি, অতঃপর… Logo হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক,চলনবিলের সময়
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সন্ধ্যার আলোয় শেষ হলো এক ঐতিহাসিক ম্যাচ। সাড়ে চার ঘণ্টার নাটকীয়তার পর ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ম্যাচের নায়িকা শান্তি মার্ডি, যিনি একাই করেছেন হ্যাটট্রিক।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হয়েছিল ম্যাচ। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষের পরই প্রকৃতি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠ দ্রুতই অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। প্রথমার্ধে শান্তির একমাত্র গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে কোচ পিটার বাটলার এক ঝটকায় ৯টি পরিবর্তন করেছিলেন, যা দলের গভীরতার জানান দেয়।

বিরতির পর শুরু হয় মূল নাটক। মাঠকর্মীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে ম্যাচ কমিশনার আসিফ আনসার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন- ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ হবে পাশের বসুন্ধরা কিংস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় নতুন ভেন্যুতে ফের শুরু হয় খেলা।

ভুটান দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরালেও বাংলাদেশের মেয়েরা হাল ছাড়েনি। শান্তির দ্বিতীয় গোলেই আবারও এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা। এরপর কোচ বাটলার মাঠে নামান অভিজ্ঞ মুনকি, নবীরণ এবং স্বপ্নাকে। নেমেই মুনকি গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন।

ম্যাচের শেষ ভাগে শান্তির হ্যাটট্রিক গোল বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে দেয়। মাঠের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক, স্কোয়াডের বাইরে থাকা ফুটবলাররা, এমনকি আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়া সাগরিকাও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন।

শান্তি মার্ডির এই হ্যাটট্রিক শুধু দলের জয়ে নয়, শিরোপার দৌড়েও বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল করেছে। ম্যাচ শেষে তার উল্লাস, সতীর্থদের আনন্দ- সব মিলিয়ে ছিল এক অবিস্মরণীয় রোমাঞ্চ।

বৃষ্টি, মাঠ পরিবর্তন এবং টানা অপেক্ষার পরও মেয়েদের এই দাপুটে জয় প্রমাণ করে দিল, বাংলাদেশের নারী ফুটবল এখন আর কোনো বাধাকেই ভয় পায় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

আপডেট সময় : ১০:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

সন্ধ্যার আলোয় শেষ হলো এক ঐতিহাসিক ম্যাচ। সাড়ে চার ঘণ্টার নাটকীয়তার পর ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ম্যাচের নায়িকা শান্তি মার্ডি, যিনি একাই করেছেন হ্যাটট্রিক।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হয়েছিল ম্যাচ। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষের পরই প্রকৃতি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠ দ্রুতই অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। প্রথমার্ধে শান্তির একমাত্র গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে কোচ পিটার বাটলার এক ঝটকায় ৯টি পরিবর্তন করেছিলেন, যা দলের গভীরতার জানান দেয়।

বিরতির পর শুরু হয় মূল নাটক। মাঠকর্মীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে ম্যাচ কমিশনার আসিফ আনসার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন- ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ হবে পাশের বসুন্ধরা কিংস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় নতুন ভেন্যুতে ফের শুরু হয় খেলা।

ভুটান দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরালেও বাংলাদেশের মেয়েরা হাল ছাড়েনি। শান্তির দ্বিতীয় গোলেই আবারও এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা। এরপর কোচ বাটলার মাঠে নামান অভিজ্ঞ মুনকি, নবীরণ এবং স্বপ্নাকে। নেমেই মুনকি গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন।

ম্যাচের শেষ ভাগে শান্তির হ্যাটট্রিক গোল বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে দেয়। মাঠের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক, স্কোয়াডের বাইরে থাকা ফুটবলাররা, এমনকি আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়া সাগরিকাও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন।

শান্তি মার্ডির এই হ্যাটট্রিক শুধু দলের জয়ে নয়, শিরোপার দৌড়েও বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল করেছে। ম্যাচ শেষে তার উল্লাস, সতীর্থদের আনন্দ- সব মিলিয়ে ছিল এক অবিস্মরণীয় রোমাঞ্চ।

বৃষ্টি, মাঠ পরিবর্তন এবং টানা অপেক্ষার পরও মেয়েদের এই দাপুটে জয় প্রমাণ করে দিল, বাংলাদেশের নারী ফুটবল এখন আর কোনো বাধাকেই ভয় পায় না।