ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
 জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। আগ্রহীরা ইমেইল আবেদন করুনঃ chalonbilersomoy@gmail.com। চলনবিলের সময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে অভিযোগ কেন : রাশেদ

চলনবিলের সময় নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
চলনবিলের সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে এত প্রশ্ন ও অভিযোগ কেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

রাশেদ লেখেন, একজন ডিসির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি আমাকে জানালেন, জেলা পর্যায়ের সব দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধির মাধ্যমে সব কাজ করার বিষয়ে আমাদের ওপর উপদেষ্টাদের নির্দেশনা আছে। এ কারণে সব জায়গায় তদারকির জন্য ছাত্র প্রতিনিধি ঠিক করে দিয়েছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরেও একই অবস্থা।

তিনি লেখেন, তদারকির নামে এসব ছাত্র প্রতিনিধি বদলি বাণিজ্য, প্রমোশন, নিয়োগ ইত্যাদি কাজ করে থাকে। আমি নিজেও এর কয়েকটা প্রমাণ পেয়েছি। একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি আমাকে বলছিলেন, ওমুক সমন্বয়করা আমাকে এখানে এনেছে। আমাকে বাদ দেবে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবে, এগুলো করে কিচ্ছু করতে পারবে না!

যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে অভিযোগ কেন : রাশেদ

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা লেখেন, গতকাল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে আমাকে বলল, ভাই, ওমুক মিনিমাম কোটি টাকার বেশি কামিয়েছে! আমি বললাম, কী বলো! সে বলে ভাই, গণঅভ্যুত্থানের পর এক একটা সমন্বয়ক মানে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ছিল। আমি নিজেও যখন বিভিন্ন জায়গায় সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে গিয়েছি, একই অনুভূতি হয়েছে!

তিনি আরও লেখেন, সকাল বেলা ইউটিউবে একটা বক্তব্য সামনে এলো। একটু শুনলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গোলাম রাব্বানী স্যারের বক্তব্য, ‘যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী এই হত্যার প্রকাশ্য প্রতিশোধ চায় না, আমি তাকে ঘৃণা করি… যার বক্তব্য এই দেশের জনগণকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল… তিনি বলেছেন, ২৪ এর হিরোরা ভিলেনও হয়ে যেতে পারে (কমেন্টে লিংক দিয়ে দিবো)!

সবশেষ তিনি লেখেন, আজ কেন এই প্রসঙ্গ আসছে? যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে এত প্রশ্ন ও অভিযোগ কেন? এগুলোর জন্য দায় কার? দেখেন, গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণদের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি বানানো হয়েছে, ডিসি-এসপিকে বলা হয়েছে সমন্বয়কদের নিয়ে কাজ করুন… গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ছাত্র প্রতিনিধি ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে। অপরিসীম ক্ষমতা এই তরুণদের পথভ্রম করেছে। যার জন্য দায়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ। পুরো বিপ্লবকে বিপথে পরিচালিত করেছে এই এনজিও ব্যক্তিত্ব, বৃদ্ধ আমলা ও কতিপয় সুশীল, মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আসছে ৮ আগস্ট বিপ্লব বেহাত দিবস পালন করে তাদের সম্মানিত করা হোক!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে অভিযোগ কেন : রাশেদ

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে এত প্রশ্ন ও অভিযোগ কেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

রাশেদ লেখেন, একজন ডিসির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি আমাকে জানালেন, জেলা পর্যায়ের সব দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধির মাধ্যমে সব কাজ করার বিষয়ে আমাদের ওপর উপদেষ্টাদের নির্দেশনা আছে। এ কারণে সব জায়গায় তদারকির জন্য ছাত্র প্রতিনিধি ঠিক করে দিয়েছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরেও একই অবস্থা।

তিনি লেখেন, তদারকির নামে এসব ছাত্র প্রতিনিধি বদলি বাণিজ্য, প্রমোশন, নিয়োগ ইত্যাদি কাজ করে থাকে। আমি নিজেও এর কয়েকটা প্রমাণ পেয়েছি। একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি আমাকে বলছিলেন, ওমুক সমন্বয়করা আমাকে এখানে এনেছে। আমাকে বাদ দেবে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবে, এগুলো করে কিচ্ছু করতে পারবে না!

যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে অভিযোগ কেন : রাশেদ

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা লেখেন, গতকাল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে আমাকে বলল, ভাই, ওমুক মিনিমাম কোটি টাকার বেশি কামিয়েছে! আমি বললাম, কী বলো! সে বলে ভাই, গণঅভ্যুত্থানের পর এক একটা সমন্বয়ক মানে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ছিল। আমি নিজেও যখন বিভিন্ন জায়গায় সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে গিয়েছি, একই অনুভূতি হয়েছে!

তিনি আরও লেখেন, সকাল বেলা ইউটিউবে একটা বক্তব্য সামনে এলো। একটু শুনলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গোলাম রাব্বানী স্যারের বক্তব্য, ‘যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী এই হত্যার প্রকাশ্য প্রতিশোধ চায় না, আমি তাকে ঘৃণা করি… যার বক্তব্য এই দেশের জনগণকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল… তিনি বলেছেন, ২৪ এর হিরোরা ভিলেনও হয়ে যেতে পারে (কমেন্টে লিংক দিয়ে দিবো)!

সবশেষ তিনি লেখেন, আজ কেন এই প্রসঙ্গ আসছে? যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে এত প্রশ্ন ও অভিযোগ কেন? এগুলোর জন্য দায় কার? দেখেন, গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণদের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি বানানো হয়েছে, ডিসি-এসপিকে বলা হয়েছে সমন্বয়কদের নিয়ে কাজ করুন… গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ছাত্র প্রতিনিধি ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে। অপরিসীম ক্ষমতা এই তরুণদের পথভ্রম করেছে। যার জন্য দায়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ। পুরো বিপ্লবকে বিপথে পরিচালিত করেছে এই এনজিও ব্যক্তিত্ব, বৃদ্ধ আমলা ও কতিপয় সুশীল, মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আসছে ৮ আগস্ট বিপ্লব বেহাত দিবস পালন করে তাদের সম্মানিত করা হোক!