
চাটমোহরের জারদিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল হয়ে মান্নাননগর পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটির পুনর্নির্মাণ কাজ আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানা গেছে।
গত ২ আগস্ট সামাজিক সংগঠন ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’ সড়কটির সংস্কারের দাবিতে নয়টি স্থানে প্রায় ১৪ কিলোমিটার জুড়ে বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করে।

এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি এই সড়ক পুনর্নির্মাণে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেবেন।

এরপর ৬ আগস্ট তিনি ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’-এর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে রাজশাহীর সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পাবনা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এম. আজিজ-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “টাকার কোনো অভাব নেই, তবে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এ জনদুর্ভোগ হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সড়ক পুনর্নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হবে।
পরে, ২০ আগস্ট ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক কে. এম. বেলাল হোসেন এবং সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি। বৈঠকে মানববন্ধনের স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ একটি নথি হস্তান্তর করা হয়। সচিব সরাসরি ফোনে রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কাজ শুরুর আশ্বাস দেন।
সাবেক এমপি কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিলে আমি তা রক্ষার চেষ্টা করি। ইতোমধ্যে সড়কে সাময়িক সংস্কার হওয়ায় জনদুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। আশা করছি, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হবে। যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না হয়, তবে আমি ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’-এর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কিংবা প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবো।
এভাবে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক এবং উদ্যোগের মাধ্যমে সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম চাটমোহর, হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, বিলচলন ও গুনাইগাছা অঞ্চলের মানুষের কাছে দেওয়া তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন।