শিবগঞ্জ-২ আসনে এমপি প্রার্থী ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল

: রাসেল আহম্মেদ (স্টাফ রিপোর্টার) বগুড়া
প্রকাশ: ২ মাস আগে

9

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এবং দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ নেতা ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এলাকায় তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনসংযোগ ইতিমধ্যেই ভোটারদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনঃ

ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল মরহুম আব্দুর সাত্তার ও রোকেয়া বেগমের বড় সন্তান। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার জ্যেষ্ঠ। শৈশব থেকেই সৎ ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই নেতা উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর চিকিৎসক পেশায় যুক্ত হন।

শিক্ষা ও পেশাজীবনঃ

তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন। শুধু চিকিৎসা পেশায় সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। ফলে এলাকায় একজন মানবিক চিকিৎসক ও সমাজসেবক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।

রাজনৈতিক জীবনঃ

প্রায় ৩৫ বছর আগে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে ধীরে ধীরে তিনি দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও দলের প্রতি তার অবিচল আনুগত্য তাকে সাধারণ কর্মী থেকে একজন নেতায় পরিণত করেছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল শিবগঞ্জকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এজন্য তিনি কয়েকটি অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন—

  • আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন
  • সুলভ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণ
  • আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন

তার বিশ্বাস, এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে শিবগঞ্জ উপজেলার চেহারা আমূল বদলে যাবে এবং এটি দেশের একটি মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

নির্বাচনী আসন ও অবস্থানঃ

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া না-ও যেতে পারে। তবে তাতে তিনি বিচলিত নন। জনগণের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সক্রিয় থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।