ভালবাসার প্রতীক হিসেবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই, সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলামের অঙ্গীকার

: ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ মাস আগে

8

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পাবনা-৩ আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা আলহাজ্ব কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “আপনারা আমাকে ভালবাসেন, তাই সেই ভালবাসার মূল্যায়ন করতে চাই জীবন দিয়ে। শেষ বয়সে যদি আবারো সুযোগ পাই, ধনী-গরিব, শ্রমজীবী-পেশাজীবী, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সেবা করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই। আমার রাজনীতির ইতিহাসে কখনো সন্ত্রাস, অনিয়ম কিংবা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিইনি— ভবিষ্যতেও দেব না।”

তিনি এসব কথা বলেন সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গুড়া হাজী জামাল উদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাকে আপনাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এবং ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে আমি আপনাদের সাথেই আছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও লন্ডনে থাকা তারেক রহমান আমাকে বারবার মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। যতবার মনোনয়ন চেয়েছি, ততবারই দল আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। গত নির্বাচনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এবারও অনেকেই চাইবেন, তবে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন মহান আল্লাহ্ তাআ’লা।”

তিনি আরো বলেন, “আমি যখন এমপি ছিলাম, তখন ভাঙ্গুড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখানে একটি ডাকবাংলো প্রতিষ্ঠা, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ, ভাঙ্গুড়াকে থানা করার দাবি বাস্তবায়ন— সবই আমার হাত ধরে হয়েছিল। মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে থানা উদ্বোধনও করেছিলাম। কিন্তু গত ১৭ বছরে এর কোনো উন্নয়ন হয়নি। তাই শেষবারের মতো আবারো আপনাদের সেবা করার সুযোগ চাই।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন রাজু। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল আক্তার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান লিটন, কলেজের সাবেক ভিপি ফিরোজ আহমেদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল রানা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজন আহমেদ, চাটমোহর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, চাটমোহর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক তানভীর জুয়েল লিখন প্রমুখ।

জনসভা শেষে কে. এম. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশাল গণমিছিল বের হয়, যা ভাঙ্গুড়া পৌরসদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক এতে অংশ নেন।